এই তুমি না জীবের মাঝে সেতু বন্ধন গড়তে?
এখানে কি করো? কেন এলে মরতে?
হ্যাঁ মহাকাল, আমিই সেই প্রেম
পরিচয় দিতে লাগে বড় ই শেম।
তাইতো ঘুরি আজ পাগল বেশে
ভূলো-দ্যূলোক আর নানান দেশে।
সদা ব্যাথা ভরা থাকে এই ছোট্ট মন
সেথায়-এথায় খুঁজি শুধু একটু আবাসন।
কেন? জীবকূল কি আর প্রেম রচে নাকো?
ঐতো কতো জোড়া-জোড়া, চেয়ে তুমি দেখো।
আজ্ঞে হ্যাঁ মহরাজ; ভাল করে যদি একটু দেখেন
কসুর না নিয়ে যদি একটু লেখেন।
বড় ভাল হয়
মিথ্যে কিছু নয়।
আচ্ছা চলো, যাব তোমার সাথ
আজ না হয় সব কাজ দিয়ে দিব বাদ।
ধরাতে নেমে এল প্রেম-মহাকাল
গাড়ি-ঘোড়া এলো-মেলো নেই কোনো তাল।
কুকুর-কুকুরী চলে পিছে পিছে লেগে
এখন বরষা কাল, ঋতু নেই জেগে !
মানব-মানবীর ঠোট মিশে একাকার
হাতখানি কোথা গেছে নেই তো দেখার।
ওখানে জমাট হয়ে রয়েছে সূজন
একই চাদরে ঢাকা হয়ত দুজন।
থেকে থেকে জ্বলে ওঠে ভেজা হুতাশন
শরীরটা গলে যায়, ভিজে যায় মন।
পাগলা ঘোড়ার পিঠে জৈব আরোহী
তৈলহীন পলিতা বড় বিরোহী।
বাতাসে উড়িয়ে নিল ঢাকা আবরণ
সূজন কোথা গেল নেইতো স্মরণ।
প্রেম, আমায় নভে যেতে হবে
তুমি আরো কিছুক্ষণ থেকে যাও ভবে।
দেখি গিয়ে ওখানে যায় কি গো করা
বিপথে গেলে প্রেম মরে যাবে ধরা।