কে বলে তোমায় ধমকের স্বরে," নারী তুমি, চুপ থাকো!
এত কেন কথা? মুখরা ললনা! আঁচলে মুখটি ঢাকো!"
দিয়ে ধিক্কার উঁচু করে শির চোখ রেখে চোখ পানে
বল যা বলার নিজ মহিমায় সেই সে লোকের সনে।
কে পারে দমাতে তোমারে হে, তুমি মাতৃশক্তিধারী
যে শক্তি হতে জন্ম মানবে সেই সে শক্তি নারী।
তুমি কৃপাময়ী করুণা-আধার জীবনসিন্ধু পাড়ে
করেছ ধারণ স্নেহেরই ধারা আপন বক্ষ জুড়ে;
সেই ধারা পিয়ে বাঁচিছে মানব এই ভব সংসারে
সর্বজয়া হে, জননী জগতে বাঁধো প্রেমমাখা ডোরে।
কেবল কোমল, কুসুম-নরম হৃদয় রেখোনা ধরি
প্রয়োজনে হও পাষাণ-প্রমাণ দন্ডিতে দুরাচারী।
সোচ্চার হও অধিকার লাগি প্রাপ্য যা, লও বুঝে
জীবনের পথ বন্ধুর তবু জিততে হবে যে যুঝে।
এ ধরনী যবে নারী পুরুষের সমান সমান হবে
সেইদিন হতে বিশ্বজগত পরিপূর্ণতা পাবে।
কথা কও নারী, টুটে ফেলো বাঁধা, সাহসী জবাব দাও
এ ভূমির পরে তোমার জায়গা সমভাগ করে নাও।
নশ্বর ভবে দেহের মরণ, মরণ কখনো নয়
সমাহিত হলে বাসনা মনের, মরণ তারেই কয়।
সমাজের ভয়ে বাসনা নিজের যদি খুন করা লাগে
তবে সমাজের টুঁটি চেপে ধরো, দোহাই তোমার লাগে!
এ জগতে নব প্রাণ কল্লোলে যদি ভরে দিতে চাও
সবার আগে 'হে প্রাণের উৎস' আপন প্রাণ বাঁচাও।
৬/৫/২৪ইং, মো.পুর, ঢাকা।