আর কি হে হবে দেখা এ পাড়ের অঙ্গনে
সেই যে কবে দেখেছিলাম কোন্ সে শুভক্ষণে
দেখেছিলাম ঘন কালো নঞদীঘল কেশে
ললাট 'পরে গুচ্ছ অলক কাঁপে ঊর্ধ্বশ্বাসে
প্রবল আবেগ, কেঁপে কেঁপে ওঠে বদ্ধ ঘরে
উড়তে চেয়ে অলকের দল উড়তে নাহি পারে।
দেখেছিলাম লজ্জানত দুটি আঁখি পাতা
সরু বাঁকা কৃষ্ণ ভ্রমর যেন বাঁকা চাঁদ আঁকা
দু একটিবার উন্মীলিত হলো যখন আঁখি
ভ্রমররূপী নয়ন মাঝে আপন ছবি দেখি
জাগল সারা প্রাণের পটে ভাঙল আগল দ্বিধার
ছুটলো আমার কথার তরী পেতে সুখের দিদার।
সংশয়ে আর লাজে থরোথরো অধর কাঁপা
অস্ফুট তার কথার বাণী কন্ঠখানি চাপা
লাজে ভয়ে ভাবাবেগে যে মধুর আলাপন
দাগ কেটেছে মনের ঘরে সে প্রনয় প্রবচন।
আবেগ মেশা স্মিত তার লাজুক হাসির আবেশ
আজও আমায় নিত্য হাসায় হয় না'ক নিঃশেষ।
চমক জ্বরা হয়েছিলো সেদিন আমার গায়ে
চঞ্চল মতি শান্ত হলো কিসের পরশ পেয়ে!
সে রূপ আমার নয়ন জুড়ে আজো বিরাজ করে
স্নিগ্ধ সেই রূপের মায়া ভুলবো কেমন ক'রে!
কেমন করে ভুলবো আমি ধীর পায়ে তার চলা
দেখে সেদিন চলার ভঙ্গি মন ছিলো চঞ্চলা।
আরেকটি বার দেখবো তারে মনে বড় সাধ
অশ্রু যদি ঝরে তখন দেবো নাকো বাঁধ।

২৬/৯/২৪ খ্রি., মো.পুর, ঢাকা।