ও সোহাগী যাবি নাকি
আমার ছোট্ট গাঁয়
হেথায় আছে কলমি লতা
সাপের মত বায়।
ঝাঁকে ঝাঁকে পাতি হাঁসে
বিলের জলে থাকে
সন্ধ্যা হলেই ঘরে ফেরে
বউটি যখন ডাকে
আয় রে তৈ তৈ আয় রে বলে
যেই না পাড়ে হাঁক
অমনি ওরা ছুটে আসে
ওরাও জোড়ে ডাক।
কুচলা কালো জলের বরণ
বর্ষা কালে থাকে
জলে ভরপুর বিরাট পাথার
শাপলা পাতায় ঢাকে।
হেথায় খেলে চাঁদের আলো
কালো জলের তলে
এমন শোভা হৃদয় কাড়া
যেমন মানিক জ্বলে।
বলছি শোনো হিমেল হাওয়া
বয় যে ভোরের বেলা
শরীরটা এই শিউরে ওঠে
শান্তি মেলে মেলা।
ঘড়ির এলার্ম ভোরের বেলা
বাজে না'ক হেথায়
মোরগ আছে ডেকে দিতে
ঘুম সে সবার ভাঙ্গায়।
লাল সাদা আর নীলাভ রঙে
শাপলা ফোটে হেথায়
কচুরিপানা ফুলের বাহার
কে না জানে হায়!
শ্যামল বরণ ধানের ক্ষেতে
বাতাস খেলে যায়
ঢেউয়ের মতো দোল দুলিয়ে
সুদূরে মিলায়।
বাড়ি বাড়ি গাছে গাছে
ফুল পাখিদের মেলা
খেলার জন্য সাথী আছে
আনন্দে যায় বেলা।
বাতাস খাঁটি খাবার খাঁটি
খাঁটি গাঁয়ের মাটি
সহজ সরল মানুষগুলান
আরো বেশি খাঁটি।
আমার পরাণ আঁটকে থাকে
ঐ না গাঁয়ের ধারে
যখন তখন ছুটে যেতে
ইচ্ছে আমার করে।
ও সোহাগী যাবি নাকি
আমার ছোট্ট গাঁয়
দেখবি সেথা সুরুজ ওঠা
কেমন শোভাময়।
১৩/৩/২৪ ইং, মো.পুর, ঢাকা।