হে পুরাতন তুমি ডাকিও-না-মোরে,
নতুনের আগমনে;যাচ্ছি দেশ-দেশান্তরে।
তুমি পাপী-
তোমাকে ধৌত করি সাগর জলে ফেলি,
তোমাকে নয়;পাপ -কে-দিলাম জলাঞ্জলি।
হে পুরাতন,
শুভ্রতা মাখিয়ে নতুন সাজে-সাজাবো  মাধুরী,
আগামী-আগমনে তুমি হবে বিশ্ব সুন্দরী।

হে পুরাতন,যারা চলে গেছে গত হয়ে
স্মৃতিপটে জ্বলে আকাশের তারা হয়ে।
ওরা-নির্ভীক-সৈনিক-কলম-যোদ্ধা,
তাদের স্মরণে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।
হে পুরাতন,
বৈশাখী ঝড়ে দমকা হাওয়ার বাদল দিনে,
পাল তুলি নৌকায়;দাড় টানি গানে-গানে।

হে পুরাতন যন্ত্রণাময় দিনে বর্ষিত বৃষ্টি
রিমঝিম-রিমঝিম শব্দেন্দ্রিয় করে সৃষ্টি
ভোর বেলা কা-কা শব্দে ঘুম ভাঙ্গা ঘন্টা
তবুও তোমাকে;করেছি ক্ষমা,মম মনটা।

হে নববধূ,তোমার মেহেদি আঁকা হাত রাঙ্গীয়ে
বাসরঘরে ওগো-তুমি দেখ আমায় লাজ ভাঙ্গীয়ে।
তুমি যে আমার অভিলাষী মনের স্বপ্ন-সাধনা,
তুমি আসবে বলে পালকি সাজিয়েছি কত-যে-কল্পনা।
হে শান্তিদূত,
ক্ষুধার্ত মানুষের মেঘলা দিনের বৃষ্টি ঝরা ক্লান্তি,
তুমি সকলের ভ্রাতৃত্বের মমতা সৃষ্টিকর প্রশান্তি।
হে নববর্ষ,
তুমি নতুনত্ব পুঞ্জিকা নিয়ে সেকেন্ড-মিনিট-ঘন্টা-দিনে,
ঘড়ির কাটা চলে তালে-তালে,আমরাও চলি  গুনে-গুনে।
হে পুরাতন, হে নতুন,
হয়তো মাকড়শার জাল বুনি অন্ধকার বদ্ধ ঘরে,
ধুলা স্তরে-স্তরে কবিতা পরে থাকবে যুগ-যুগান্তরে।
আমি হয়তো থাকবো কি?থাকবো না!
তোমরা কবিতাটি পড়বে কি? জানি না!