আমি দারু পানে রক্তাম্বর করি গর্জন,
ছিনতাই আমার বাম হাতের অর্জন।
আমি মাতাল তালে চিন্তা করি টাকার,
মানিনা ছোট-বড়-পিতামাতা-কে কার?
শুধু টাকার দরকার ,পকেট গরম করিবার।
আমি দয়ার সাগরে ভিক্ষা করি বারবার,
ভাই দাও ধার,কাল দিবো,দিবো শুক্র বার।
চক্ষুলজ্জা নেই আমার,করি বেইমানি
কলার্ট চাপি ধরি আমি, চাই শুধু 'মানি'।
আমি ভয়ংকর নিশাচর মাতাল জুয়ারু,
কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলি;জব্দ করি শজারু।
আমি ভদ্র মানুষ সাজি;করি শয়-তানি,
খেলি তাস,উড়াই টাকা,করি রাহাজানি।
আমি বাজিগর,ধরি বাজি,খেলি আই-এল,
সবাই জানি;কে আমি?নাকের ডগায় খেলি বি-এল।
আমি বাহান্ন কার্ড এ তেরোটি ইস্কাপন,
সর্বনাশের খেলা নিয়ে ব্যস্ত থাকি সারাক্ষণ।
ঘর-সংসার-নারী-বাড়ী-গাড়ি-ধরি বাজি,
চিন্তা নাহি,ফিকির নাহি,মন-যা-চায়,করি আজি।
আমি সর্বনাশী তান্ত্রিক,শয়তানের দৃষ্টি,
আমি ভালোর মাঝে অন্যায় করি সৃষ্টি।
আমি মাস্তান,দুই পকেটে রাখি ছোট দুই 'গান'
নিরিহ মানুষ মারি, টাস-টাস শব্দে রাখি তার মান।
আমি শহরতলীর-অলিগলি-আড্ডাখানায় চলি,
হরতন-রইতনের মাঝে ইস্কাপনের টেক্কা দিয়ে চলি।
আমি ফেন্সিডিল-গাঁজা-ভাং-তারী-ইয়াবা,
সকলের বাপের-বাপ-আমি,দরবেশ বাবা।
আমি তরুণে মাঝে উল্লাসে মাতাল তালে নাচি,
যুবককে করি আলিঙ্গন,ধরি ফুল;কচি কচি।
আমি সর্বগ্রাসী,নতুনমাঝে হতাশা ব্যর্থতা খুজি,
কিশোরীর মনে প্রেম জাল বুনি,মহা প্রেমিক সাজি।
আমি যুবককে ধীরে ধীরে গ্রাস করি,
নেশাখোর বানিয়ে উলঙ্গ ত্রাসে ক্লান্ত করি,
আমার হিংস্র থাবায় অবুঝ হরিণী কে খুন করি।
আমি রক্তপিপাসু রক্তচোষা,অশান্ত কে;করি শান্ত,
ধীরে ধীরে হৃদয় স্পন্দন কে করি ক্লান্ত।
আমি নেশায় নোশায় মৃত্যু সাথে পাঞ্জা লড়ি
করি না ক্ষমা, মুহূর্তে শেষ করি প্রান জুয়াড়ি।
আমি আহ্বান করি,এসো হে নেশাখোর; কবরে-
নরকের মাঝে নিক্ষেপ করি,অগ্নি জ্বালাই-শরীরে।