তুমি ভালবেসে কখনো হেরে যাওনা,
তুমি ভালবেসে বারবার নিজেকে হারাও-
অস্তিত্বের রক্ষায় তুমি ভালবাসা পেতে চাও।
অথচ অলক্ষে-
কী ভীষণভাবেই না মৃত্যুপথে দু পা বাড়াও!

তুমি বরং ছেড়ে যাও-
ছেড়ে দাও;
আঁকড়ে থেকো না কোনকিছু,
মানুষ আর কত পারে?
কতটুকুই বা আর সাধ্য তার?

এক পাশে ঘৃণার পর্বত আকাশ ভেদ করে চলেছে,
দূরত্ব যেখানে একেবারে প্রান্তসীমায়-
সেখান থেকে আরো দূরে সরে যাওয়া অসম্ভব.......
অন্য পাশ,
অষ্টপ্রহর জন্ম-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে,
খুব করে সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছে,
কারো জন্য এতটা ভালোবাসা,অনুভূতি আর অস্তিত্বের টান,
হয়তো কোনো মানুষের জন্য, ‘এতটা করা’,
কোনো না কোনোভাবে ভীষণ অন্যায়!

হায় ঈশ্বর, কী লীলা তোমার!


কত সহজেই না কঠিন হয়ে যেতে পারো-
সে পাথরে পাষাণ গলে না।
খড়কুটোর মত ভেঙ্গেচুরে হারাতে থাকি....
কষ্টটা আরো তীব্রভাবে সংক্রামিত হয়,
হৃদপিণ্ড,রক্ত,অঙ্গপ্রত্যঙ্গদি থেকে সমস্ত অস্তিত্ব জুড়ে।
বলতে বড্ড বাঁধে-
ছোট্ট জীবন সেধেসুধে কষ্ট নিয়েই কাটল!
এখন আর আমি আমার নেই-
আমার ভেতরে বিনি সুতোয় বাঁধা দুটি প্রাণ-
এজন্য নিজেকে আর মরতে দিতে পারিনা!
আমি তার জন্যই বেঁচে আছি।
ঈশ্বর কি লীলা তোমার!
মানুষের বাঁচার জন্য অজুহাতের কোনো অভাবই হয় না!