নক্ষত্রের অস্তিত্ব ও পরিমন্ডলের বাইরে আমি।
হয়তো ধূসর কোনো আলো!
তবুও কেনো?
ঘুরে-ফিরে সচেতন পাপে.........
আমারই দরজায় কড়া নেড়ে যাও?
পরিযায়ী পাখির চালচিত্র শীতের কুয়াশার সাথেই মিলিয়ে যায়,
তুমি না হয় থেকো হেমন্তের ধানক্ষেতের নরম ধূসর স্পর্শ হয়ে,
সোনালী চিলের ঠোঁটের ডগায়!
তুমি না হয় ফুরিয়ে যেও আতশবাজির মতো,
ইচ্ছা করে না হয় আঁধার পেরিয়ে সূর্যারশ্মি হয়ে না উঠলে......
মৃত্যুর মত শীতল নিস্তব্ধতা নিয়ে ঘুমিয়ে থাকি,
যে উষ্ণতা তোমাকে পোঁড়ায় না,
আমার নির্ঘুম রাতেরা তোমাকে ছোঁয়না।
আমাকে ছোঁয়না তোমার হাত কিংবা অনুভূতি।
ঘরের বাইরে মুক্ত আকাশে যে নরম,ধবল জ্যোৎস্না ঝড়ে,
আমাকে ছুঁয়নি সেও!
নিরুত্তাপ,নিরুত্তেজ রাত্রির বুকে মৃত্যঘুম,
তীব্র আর্তনাদ নিয়ে,শান্ত সমুদ্র হয়ে;
শুয়ে পড়ে..........
দুঃখের পংক্তিমালা সর্বদা সঞ্জিবনী রসে স্থবির!
আমি কখনো প্রেমিক হতে পারিনি-
রাশিয়ান শীতের মত আমিও প্রচন্ডরকম গম্ভীর.......
অসহ্যরকমের বিমর্ষ আমি।
প্রেমিকা,
তুমি অন্তত আমাকে চেয়ো না!
তোমাকে ভোলার মত,সত্যিই আমার আর কোনো দুঃখ নেই!