যান্ত্রিকতায় মোড়া একাবিংশ পুরীতে শঙ্খমালা এসেছিলো,
সোনালী চিল মহাকালে রূপ নেয়,
উড়িয়ে নিয়ে যায় দৃষ্টিসীমার বাইরে।
সেখান থেকে আরো সড়ে যাওয়া অসম্ভব!
গোলকধাঁধার বৃহৎ পরিসরে ঘুড়তে ঘুড়তে আবার দেখা হয়,
শিশিরভেজা ধান ক্ষেত,মধুকূপি ঘাস,ধবল জ্যোৎস্নায়-
জোনাকির আলো থেকে প্রভাতের কুসুম
দীপ্যমান লালে,স্বর্গকায়ায় মিলে,
হৃদয়ের গহীনে স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর ছবি হয়ে।
শিল্পকলার দেবী হয়ে.......
অনেক পথ হেটেছি আমি-
অনন্তকালের পথে নদী,মাঠ,ঘাটে;
হরিৎ ক্ষেত,উষড় মরু,
বিষণ্ন জীর্ণ শীত আর চাঁদের হাঁটে।
এ যাত্রার শেষ কোথায়?
নিরিখের সন্ধানে তবুও তো আশ্রয় জোটে!
পান্থশালা আর ভিড়ের সরাইখানায়....
নদীও মরু বালিতে নিরস;
ফল্গুরুপে নিমজ্জমান সরস হয়ে সঞ্চয়।
শিশিরশিক্ত ঝড়েপড়া পাপড়িও অপেক্ষায়-
বসন্তে নব্য জন্মের প্রয়োজনে......
সমস্ত পান্থশালা আর সরাইখানার ভীড়ে,
হয়তো তুমি আছো;
তোমার জন্য ই বার বার মরি।
বারবার বেঁচে যায়!
তুমি বাস্তবে বাঁচো,আমি কল্পনায় মরি....
এ যাত্রার শেষ কোথায়?
ঠাঁই পাই,তবুও ঠাঁই নাই!