অরিত্রি,
খুব বেশী কিছু চাইনি আমি-
গোধূলিতে একটা নীল শাড়ি ই হোক,
কাঁচের চুড়ির অনবদ্য ঝনঝনানি-
লাল টিপে না হয় একটু সেজো।
ঘন কালো দিঘল চুলে,
একটু বেলী ফুলের মালা দিয়েই না হয় জড়াও,
বাউন্ডুলের মুগ্ধ চোখেমুখে,
অনিন্দ্য কেশের সুবাস ঝড়াও-
কোন এক নির্জনতায় শান্ত নদীর জলে পা ডুবিয়েই বসো,
বৃষ্টি ভেজা নিষ্পাপ কদমের আদর না হয় মেখো।

খুব বেশী কিছু চাইনি আমি,
শুধু চেয়েছিলাম-
একদিন ঝুম বৃষ্টিতে- তোমার হাতে হাত রেখে পথ চলতে,
কোন এক বৃষ্টি ভেজা বিকালে তোমার চোখে চোখ রেখে রংধনু দেখতে.....
সোনালী সন্ধ্যায় মুখোমুখি বসে থাকতে। বসন্তের প্রথম প্রহরে পাশাপাশি পথ চলতে,
জ্যোৎস্না ভেজা রাত্রিতে তোমাকে নিয়ে ভেসে যেতে।

আমি জানি-
এই যে মুখের উপর চূর্ণবিচূর্ণ চুল,
ওষ্ঠাগ্রের আগমনী হাসির আভা-
নেশা লাগা চোখে লেগে থাকা অনিন্দ্য মনোহরা হাসি,
হয়তো থেকে যাবে,তোমাকে দেখে,
কারো কালদীর্ঘায়নের মত মহাভ্রম।
আমি জানি,থেকে যায় নক্ষত্র পতনের শোক,
না পাওয়ার যাতনায়-
জীবদ্দশায় বারংবার মৃত্যু মরক-
হয়তো থেকে যাবে,
আমার যত্নে রাখা নীল রঙা বিষাদ,অব্যক্ত আর্তনাদ।
সাদা পাতায়-
পিঁপড়ার মত গুটি গুটি কালো অক্ষরে.....
শুধু থাকবেনা;
আমার বিমুগ্ধ চোখ!

কেনো এলে?
কেনো আসতেই হলো বড় অবেলায়?
বেশতো ছিলাম বিবর্ণ পুরীতে-
যেন আকষ্মিক আজন্ম আচঁড়,
বহুকাঙ্ক্ষিত করাঘাত শতবসৎরের সুপ্ত চেতনায়।
সত্যিই তুমি এলে;
এলে বড্ড অবেলায়!