বাইরের পৃথিবী,
তুমি আর তোমার পৃথিবী দেখতে দেখতে
ধ্বংস হয় আমার পৃথিবী,
কালের গহব্বরে হারায় আমার সভ্যতা।
মোহ ধূম্রের অস্পষ্ট কুন্ডলীর পাঁকে রয়ে যাই আমি!
বিদীর্ণ দর্পণে পৃথিবীর প্রতিসৃত আলোক,
বিচ্যুতির মহাকালে বিদিশার নব্য নির্মোক,
অতন্দ্র দূর কল্পলোক-
কৃষ্ণবিবর ধূম্রগর্ভে রক্ষিত,অমৃতে মোড়া শাবক!
আমাদের পৃথিবীর মাঝে এখন যোজন যোজন ফাঁড়াক।
আমাদের পৃথিবীর মাঝে এখন নতুন সভ্যতা।
জন্ম নিয়েছে আরেক পৃথিবী!
সত্যি-
নোঙর তুললেই সব নাবিকের নতুন দ্বীপ দেখা হয়না!

চলেছি একাকী নেকড়ের মতো-
যক্ষ স্বপ্নের অবয়ব মিলে দূর নীলিমায়.....
অতল স্পর্শী তল খুঁজে মরে;
রোদ্র-শ্রাবণ,শীত আর শিশিরের জলে
স্বপ্নের সাঁধ আর কতটা ঝড়ে?
বন আর বনানীর বুক চিড়ে-
পথ আর পথিকের ভীড়ে,
নদী আর অরণ্য ছেড়ে করুণ ডাঙায়,
কত শঙ্খমালা ভাসে আর সাতরায়.......
অনিঃশেষ খোঁজার হবে নাকো শেষ
এ মহাকালের যাত্রায়-

হয়তো শিকার করে নিয়েছে তারে, সোনালি চিল...
কিংবা নিয়েছে শকুন,শ্মশান পারে।
তবু হায়! অবুঝ হায়নায়-
খুঁজে চলে অচ্যুত চিন্ময় চেতনায়
অষ্টপ্রহর চতুর্দিকে শিকারের তাড়নায়!
যা ভুল হয়-
ভুল বানাতে চাইনা।
নিরেট সত্যে অক্ষয় পাথরে বাঁধতে চাই।
তা ভুল হয়না;
প্রতিক্ষণে খুব করে ক্ষুধার্ত নেকড়ের মত হানা দেয়
তা ভোলা যায় না..........