বাড়ির ভেতরে পাঁচিল ঘেরা ছাদ।
পর্দা টেনে রাখে জালনা,
এক একটা চৈত্রের হলুদ বিকেল ক্রমশ গাঢ় আঁধারে মিশে যায়!
রাস্তা হারিয়ে ফেলি........
পুরনো পথ হারানোর আতঙ্ক,নতুন পথ খুঁজে পাবার আনন্দ;
সেই আধভাঙ্গা জানালা,জাম-কাঁঠালের পাতার ছায়া,
সেখানটায় বসে নদী দেখতাম,
হুঁশ ফেরে,মাঝ নদীতে গিয়ে থামি
তখন মনে হয়,
আমি ছিলাম,সেখান থেকে অনেক দূরে কোথাও-
বিস্তীর্ণ এক জলভূমিতে আমি হারিয়ে ফেলেছি নিজেকে।
কে জানে?
হয়তো আমরা আমরা এক হবো!
তবু সব তো আসেনা ফিরে,পুরানো অভ্যাসের মত করে.........
দুঃখ-কষ্টকে নক্ষত্রের কাছে ছেড়ে দেই,
বিষাদের আঁধারে ভয়ে ভয়ে প্রদীপ হাত ফসকে যায়......
তারায় ভরা চৈত্রমাসের রাত-
আকাশটাকে মনে হয় মেয়ের মত,
নীল আঁচল জড়িয়ে প্রদীপের দীপশিখা,
নেভার সাথেই নিভে যাবো আমি;
যেমন হারিয়ে যেতাম চোখ ফেড়ালে............
আঁধারে আকাশের মত নক্ষত্রও তবে হারায় !