কত্তসব নিঁখুত নিঁখুত সাঁজ,
যেন তোমাতেই পুঞ্জীভূত মহাবিশ্বের সমস্ত রুপ.............
এমনটি আর কোথাও মেলে না-
তোমার সৌন্দর্য সকালবেলার মত অতসী ফুলের মত হলুদাভ সোনা,
তারপর গাঢ় টকটকে লাল অর্ঘমা।
সরু পাড়ে শুভ্র বর্ণের শাড়ি,
তনু দীর্ঘ দেহ,শ্যাম বর্ণ,প্রশস্ত ললাট,
চোখের স্বচ্চতায়,ঠোঁটের ভাবের সৌজনতায়-
আর হাসির সরলতা-
যেন জ্ঞান আর ঐশ্বর্যের মহা মিলনক্ষেত্র,
আমায় বারবার টানে,
যেমন করে যমের ডাক মৃত্যুপানে!
মাঝারি সারির চুলছাড়া বিশালাক্ষী
কাজলকালো টানা আঁখি,
যেন সরবোর থেকে সদ্য তোলা কোন প্রস্ফুটিত পদ্ম-
উৎসজলের উৎফুল্লতা সাঁইসাঁই করে ফুঁসে ওঠে....
যেন ধরার ধুলিতে আকাশের চাঁদ !
বিবর্ণ আকাশে একটুকরো মেঘ হবি?
দৃষ্টির উঠোনে জ্যোৎস্নায় রাত পোহাবি.....
মেঘ নুইয়ে এক পশলা বৃষ্টি হয়ে, "ছুঁয়ে যাবি?"
লেগে থাকবি বৃষ্টিধোঁয়া পরশ মেখে?
ছুঁয়ে যাবি আলতো করে?
আমার চোখে,মুখে-ঠোঁটে.......
তারপর ঐ দূরের আকাশ হয়ে-
মাথার উপর মস্ত বড় ছাঁদ হবি?
সমুদ্রের বুকে আজন্ম আকাশ হয়ে রবি?
কখনো রোদ,কখনো বৃষ্টির অজুহাতে আমায় ছুঁয়ে যাবি?
এই আটপৌরে জীবনে শুধু আমার হয়েই রবি........
বলনা,তুই কি আমার একলা আকাশ হবি?