কবিরা যখন মিথ্যা বলে কবিতায়
তখন তার কি নাম দেয়া হয়।
এই নদী ধানক্ষেত সাদা রঙের বক
শিশা ঢাকা শহরে যখন সবুজ জন্মায়
সবই তো সত্যিই এই নগণ্য পৃথিবীতে
তবে কেন তারা নেয় মিথ্যার আশ্রয়।
ধরুন আজ থেকে সহস্র বছর পর
কোন একজন গভীর বিষাদে
জ্বালাময়ী বিদ্রোহী কবিতা লিখে।
অথবা বুকে এক সমুদ্র দীর্ঘশ্বাস রেখে
ঘুমিয়ে পড়ে এক মানবীর বুকে
অতঃপর গভীর বিষাদে লিখে যায় সে
অন্য এক মানবীর তরে সহজ কল্পনায়।
তখন তার কি নাম দেয়া হয়
কি নাম দেয়া হয় কবির সেই কবিতায়।
এই পথ ঘাট অট্টালিকা মানুষ
সবি তো সত্য পৃথিবীতে; চিরসত্য।
সহস্র অক্ষরের কবিতায়
মিথ্যে শব্দ দিয়ে যারা ছন্দ বানায়।
একটা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে
কত মানব মনের মৃত্যু হয়।
আজ থেকে সহস্র বছর পর
যদি কোন কবি মিথ্যা লিখে
মিথ্যা ছন্দে কোন কবিতা রচিত হয়
তবে সেই কবিতার প্রতিটি অক্ষরের পাপ
যেন আমার কবরে নিক্ষিপ্ত হয়।
মানব মনের মৃত্যু কি মিথ্যে হতে পারে
তবে কবিরা কেন মিথ্যা লিখে।
পৃথিবীর তরে যতদিন সূর্য উদিত হয়
আর যত কবি মিথ্যা বলে তার রচনায়
আমার নামেই যেন সেই কবিতার নাম হয়।