অতঃপর আবৃত্তি হলো একটি কবিতা লিখা হলো বিজয় অক্ষরে স্বাধীনতা।
বুটের আঘাতে রক্তঝরা কবিতা
ব্যস্ততার দারুণ প্রহরে
তুমি কোথায় আছো?
টিএসসি থেকে তুলে নেয় আবুল হাসানকে রমনাতে বেয়নেট বিদ্ধ হয় নীরদা দেবী
একের পর এক গুলি চলে
কিছুক্ষণের মধ্যেই কৃষ্ণচূড়ায় ভরে উঠে
রমনা চত্বর।
রাত্রির ঝমকালো আধারে
বিভৎস নির্মমতায়
লাশের পর লাশ পরে।
মা খুজে তার ছেলেকে প্রেমিক তার প্রেমিকাকে
সভ্য শিশু বেদনার ভারে নুয়ে পরে ক্ষুধার্ত মানচিত্রের উপরে। হত্যা আর নগদ রক্ত দিয়ে কেনা কবিতা
তুমি কোথায় আছো?
আজ স্বাধীনতার ৫২ বছর, সেদিন দেখলাম
ডালিমের ডালে ফোটা সবুজ পাতাটি আর নেই রক্তে মাথা ভিজিয়ে মজুরি আদায়ের দাবিতে অনশন করে পাটকল শ্রমিকরা,
মৃত্যও হয়েছে দুজনের।
নৈশ প্রহরে শুনা যায় একাকী রুম্পার জীবন ফিরে পাবার আর্তচিৎকার।
কবিতা, তুমি কোথায় আছো? কবিতা, তুমি আবারও ফিরে আসো
ফিরে আসো ফেলে দেওয়া সেই স্টেনগান আর মর্টারের শব্দ নিয়ে
বিদীর্ণ আকাশজুড়ে, শহরে, বন্দরে প্রতিটি গৃহকোণে।
শস্যক্ষত্রে কিংবা সবুজের প্লাবনে প্লাবনে।
ফিরে আসো বাংকারে বাংকারে
প্রতিটি শহীদ মিনারে
তুহিনের মুচকি হাসির আগুনে।
প্রতিবাদী কন্ঠ আর জ্বালাময়ী ভাষণে ।
আবারও বেজে উঠো কবিতা সোহরাওয়ার্দীর বুক চিরে
সমগ্র বাংলা জুড়ে ।
ফিরে আসো হে কবিতা
স্বাধীনতার ৫২বছরেও মোরা
পাইনি প্রকৃত স্বাধীনতা ।