কিছু-ই হলো না বলা
শুধু অবোধ চোখে তাকিয়ে থেকে
নীরবেই প্রস্থান হয়েছিল আমার।

আমার কী ছিল বলার
কী ছিল দেবার
যে জীবন ক্ষয়ে গেছে শত বছরের পুরনো নগরের
ইটের মতো,
সে জীবন ঠায় দাড়িয়ে ছিল
ভেতরে ঘুণপোকার আহারে পরিণত
কংকালসার দেহ নিয়ে।
কিংবা বেঁচে ছিল মৃতপ্রায়
মধ্য রাতের স্টেশন হয়ে।

দীঘল রজনী কাটে শালিকের বিলাপ শুনে-
আমার কিছু-ই বলার ছিল না
কিছু-ই হলো না বলা,
শুধু হেঁটে হেঁটে অরণ্য পেয়েছি
নিঝুম সন্ধ্যার মতো।

তারপর কথা হলো-
ঘাসের সাথে
মাটির সাথে
পাখির সাথে
নদীর সাথে
কথা হলো কেবল নিজের সাথে
ডাহুক ডাকা কোনো এক বিজন রাতে।

১২/০২/২৫