তোমাকে নিয়ে আমি কোনোদিন দীর্ঘ ভ্রমণে বের হইনি।
পার্কের এক কোণের নিঃসঙ্গ বেঞ্চটায়
তোমার আমার কেটেছে অনেক সময়।
বাদামের খোসা ছাড়াবার ফাঁকে ফাঁকে
আমি তোমার আকুতি ভরা চোখ গুলো দেখতাম,
স্ট্রীট লাইটের আলোর মতো জ্বল জ্বল করা চোখ।
তোমার চোখ নিয়ে আমার কখনো কবিতা লেখা হয়নি।

সে'বার শীতের কোন এক সকালে তুমি এলে,
তোমার কালো চাদরে সাদা কুয়াশা
রাজহাঁসের পাখার মতো লাগছিল।
তুমি বললে, ইশ! কত ঠান্ডা পড়েছে।
আমি বলি, তোমার উষ্ণ চোখের
তা ভরা দৃষ্টির কাছে ও আর এমন কী?
তুমি হাসলে- কাশফুলের মতো হেলেদুলে।

ভেবেছিলাম তোমাকে নিয়ে সমুদ্র দেখতে যাবো।
সমুদ্রের রাশি রাশি ঢেউ আছড়ে পড়বে
তোমার আমার পায়ে।
সূর্য লুকিয়ে যাবে সমুদ্রের জলে
নিস্তব্ধ পৃথিবীতে তুমি আমি পাশাপাশি হাঁটবো বিস্তীর্ণ বালুকাবেলায়।
সত্যি বলতে- সমুদ্র দেখতে যাওয়া হয়নি কোনোদিন।
কাছ থেকে সমুদ্র দেখার তৃষ্ণাও কমে গেছে____

হিম হিম বাতাসে সাদা কুয়াশায় লেপটে থাকা শীতের সকাল গুলোর সাথে হয়ত আর দেখা হবেনা।
এমন কী দীর্ঘক্ষণ পাশাপাশি হেঁটে পার্কের এককোণের নিঃসঙ্গ বেঞ্চটাতে
আর বসা হবেনা আমাদের দু'জনের।
আমার চোখ গুলো কৌতুহল ভরে তাকাবে না তোমার চোখে,
খোঁজবে না কিছু উৎসুক হয়ে।

তোমার দু'টি চোখ আজ আকাশের লক্ষ লক্ষ নক্ষত্রের মতো,
ফুলকি ফুলকি আগুনের মতো ছড়ানো।
আমি আজ রাতের আঁধারে জনমানবহীন একলা পথের পথিক।
ভালোবাসার গল্প বলি নিজের সাথে,
ভালো থেকো আকাশ সমান -
নীল জোছনার রাতে।