একবার ফাল্গুনে তোমাদের বসন্তকে খুব
কাছ থেকে দেখতে গেলাম,
রং ছটা বসন্ত।
আমার বসন্ত ফিকে হয়ে গেছে
গেলো ফাল্গুনে।
তোমাদের বসন্ত কতটা গাঢ়-নীল
ঠিক যেনো দিগন্তে ছুঁয়ে পড়া নীলাম্বর।
রামধনুর সাত রঙে জড়িয়ে আছে তোমাদের বসন্ত।
আমার বসন্তের চোখে কাজল ;
কৃষ্ণকায়- তার আহত চাহনি,
ধূসর-কালো-বসন্ত।
তোমাদের বসন্ত কৃষ্ণচূড়া রাঙা
সবুজের গালিচায় থোকা থোকা লাল রঙ্গন।
যে জীবনে বসন্ত এসে চলে যায়
সে জীবন বেঁচে থাকে বসন্তের মায়ায়।
তোমাদের বসন্ত এতটাই যৌবনা এতটাই উন্মত্ত জোয়ারের মতো!
আমার বসন্ত বানভাসি উদ্বাস্তু এক নির্মোহ আবহের ছিন্ন মুল।
তোমাদের বসন্ত দেখতে আমি আজো চলে যাই
কোনো এক ধ্রুপদী ফাল্গুনে।
তোমাদের বসন্তে আমি উপযাচক অতিথি,
যে জীবন পথ হেঁটে এসেছে নদীর ভাঙনের মতো
সে জীবনে বসন্ত উৎসব নেহায়েত বেমানান।
তবুও তোমাদের বসন্তে আমার আগমন;
যেমন শিশিরের জলকণা ঘাসের ডগায়,
নিমিষেই বিলীন হয় ঈষৎ রৌদ্রের ছোঁয়ায়।