কি দিয়েছে তোমার এই
ভালবাসা
আধো কি পেয়েছি কিছু?
নাকি দীর্ঘশ্বাস আর দীর্ঘশ্বাস
এক মুঠো ভালবাসার আদলে
ছুটেছি ভীষণ ছুটেছি
কই কিছু পাইনি তো! যা
পেয়েছি তা ভালবাসা ছিলনা
যা ছিল তা কেবল করুণাই
ছিল।
আমি তো তোমার কাছে
করুণা চাইনি
চেয়েছিলাম ভালবাসার মোচকে
উন্মোচিত করতে
অপার্থিব এক জীবনের
সোনালী বাস্তবতা।
কই তাতো তুমি একবারও
চাও নি উল্টো
চেয়েছিলে দেখতে, এখন
দেখা হয়েছে কি?
এক হৃদয়হীন ব্যক্তির ঠুকরে ঠুকরে
মরার সে কি যন্ত্রণা।
ভালবাসা ভুল ছিল নাকি
আমার বুঝতে পারাটা
যাই হোক হবে হয়তো ঐ
কোনো একটা।
আমার তো এখন আর
কিচ্ছু টি যায় আসে না
সে চলে গেছে যে এসেছিল
শুধু আমিত্ব টা পরে রইছে
কোনো এক ঝুলন্ত মেরুদণ্ড হীন
সেতুর ন্যায়।
তাতে আমার কি আমি তো
সেই আমি রয়ে গেলাম
যেখানে শিরদাঁড়া কঙ্কালের
ভগ্ন যষ্টির মতো দাঁড়িয়ে।
তোমার দেওয়া কথা,তোমার
দেওয়া নিয়ম অনিয়ম
সব আজ মরুভূমির
মরীচিকায় রূপ নিয়েছে।
মায়ার দেয়ালে আজ হয়তো
ভিন্ন ছবি ঝুলছে,
ডাকবাক্সে না জানি আর জমা
পরবে ঐ নীল খামে মোড়া
সবুজ চিঠির কালো অক্ষরে
বিদঘুটে লেখা।
জানি এসব হবেই না কারণ
সে তো আমাকে ছুড়ে
দিয়েছে
কোনো এক অগভীর গুহায়
যেখানে আমার
মুখ লুকানোটাও এক যুদ্ধের
সমান মনে হচ্ছে।
আমার অবচেতনে তুমি
না জানি কত রহস্য বুনেছিলে
আজ তা পণ্ড প্রায় নিমেষেই
হারিয়ে গেছে অদূরদর্শী
অবাস্তবতায়।
ভালবাসা না ছাই,কোনো এক
ঝড়ে যাওয়া শুকনো মরা কাঠ
অথবা হতে পারে ঝড়ে যাওয়া
গাছের শুকনো পাতার ন্যায়
এক ফালি বীভৎস রোদেলা
দুপুর।
যে কাঁটায় বিদিল আমায়
সে কাটার ক্ষত অসুখে
পরিণয়।
অনলে পুড়ে মরছি তবে তাতে
কিবা কার আসে যায়।।