আমি উন্মাদ জানিনা কখন কি যে করি!
কখনও কোলাহল কখনও বা অস্পষ্ট কথা বলি;
মানুষ আমাকে পাগল বলে; বলে আরও কত কিছু
শুনে যাই সব আছে যত তার কেচ্ছা ভুরি ভুরি।
আমি উন্মাদ জানিনা কখন কি যে করি!
একলা বসে নিজের সাথে নিজেই কথা বলি;
আবার কখনও গাছ,কখনও পশুপাখি
মনের অজান্তে কেনো বা তাদের সাথে চলি।
মানুষ যেথা থাকে সেথা নাহি থাকি আমি
লোকের ভিড়ে হারাই তবে কল্পকথার ঠাঁই ;
একা থাকতেই ভালোবাসি যে তাহার তুলনা নাই
তাইতো লোকে পাগল বলে ; শুনে আমিও শান্তি পাই।
আমি উন্মাদ জানিনা কখন কি যে করি!
সোনার ঘরে থাকি না আমি থাকি কুঁড়ে ঘরে;
কারন টা তবে ভীষণ প্রিয় ছিদ্র গুলোর তরে,
চাঁদ টা যেন বলছে কথা নিমেষে ঝরে পড়ে।
আমি উন্মাদ জানিনা কখন কি যে করি!
দিনের আলোতে চোখ বুঝে ভাবি
এই বুঝি আঁধার হলো সেথায় ;
এবার দেখবো তবে জোনাকি পোকা,
বলবো তাদের, আছে যত বেখেয়ালে কথা।
আমি উন্মাদ জানিনা কখন কি যে করি!
ভয়ের কবল যেথায় আছে সেথায় থাকি আমি;
মানুষ যেটা করে নারে আমি সেটাই করি,
দিন শেষে চাইছি আমি নতুন স্বপ্ন গড়ি।
তাইতো আমায় পাগল বলে; কোথায় আমার বাড়ি।
বাড়ি নেইকো,গাড়ি নেইকো আছে শুধু প্রাণ
উন্মাদ হয়ে ঘুরি ফিরি মানে না অবুঝ মন।
স্বপ্নের রাজ্যের মাতাল হয়ে করি অনিয়ম;
বেহুঁশ হয়ে ভাবি তখন একি চিরন্তন।