নীরব এ শহরে বিষণ্ন তায় ছাপ পড়েছে
কোথাও নেই সারা নিঃসঙ্গ তায় ছুটেছে
আজ গাড়ির হর্ন নেই, নাই কোনো শব্দ
ধূলিকণা খেলা করে কোলাহল শূন্য।
ব্যস্ত এ নগরী তে এক কদম পারিতেছে না কেউ চলতে
কেন এ-ই শহর নির্বাক? আছে কোনো প্রশ্ন
মনের সাথে মনের যুদ্ধ পারিতেছে নাকো কেহ মানতে।
নীরব এ শহরে পড়ে নাকো গাড়ি চাপা কেহ
তাই তো রাস্তার হেড লাইট এখন আর
দেয় নাকো লাল,সবুজ জমকালো আলো।
প্রকৃতিও এখন বৈরী ভাবাপন্ন থেকে বৈচিত্র্য তার রূপ নেয়
সম্ভাবনা'র দুয়ার খুলে নতুন করে বাঁচতে।
পাখিরা ও নীড়ে এসে ভিড়ে বসে একত্রে থাকতে।
সবুজ ঘাসে নেতিয়ে পড়ে ভরে গেছে জনপদ
নেই কোনো তাহার পদচিহ্ন, সে পথ হারিয়েছে
এই যে মানব সমাজ।
নীরব এ শহরে পথ শিশু গুলো অর্ধ হারে ধুঁকে ধুঁকে মরেছে
জীর্ণ-শীর্ণ সেই কুকুরগুলো পথিকের পথ ভুলেছে।
কোথায় গিয়েছে সেই মন্দির, মসজিদে থাকা
শঙ্খ, ঘণ্টা আর আওয়াজে'র ধ্বনি
নিরুপায় সে লোকালয় জনমানব হীন গণ্ডি।
ঘুম নেই এ শহরে, নির্ঘুম রাত কাটছে এ ক্ষণে
নির্বাক বাসা বেঁধেছে বন্দী জানালার এক কোণে।
নীরব এ শহরে, আজ মৃত্যুর মিছিল চলে
কেউ কাঁদে, কেউবা ফাঁসে নিয়তির এ খেলার ছলে।
নীরব এ শহরে পারে কি? আবার,
নতুন প্রাণের স্পন্দন ফিরে পেতে।
নাকি এভাবেই রয়ে যাবে নীরবতার গভীর চিহ্ন সেজে।।