রক্তিম লাল বর্ণ ধারণ করে শাখা-পল্লবে
ফুটেছে পলাশ, শিমুল বনে
প্রজাপতির দল সাত রঙে
করছে ভালোবাসার চাষ।
ছন্নছাড়া শব্দ পেল ছন্দের রূপ,
কবিতার লাইনে লাইনে পোড়ায় আছে যত দুখ।
এসবের কিছুই স্পর্শ করে না—
নিঃস্ব আমি, রিক্ত আমি; পড়ছে তোমায় মনে।
হৃদয়ে গাঁথা আছে এখনো সেই এক জোড়া মায়াবী চোখ।
ক্যামেলিয়ার অলংকারে সেজেছে ফাগুন, নতুন রঙে। দু’হাত ভরে নিয়ে এসেছে ভালোবাসার আহ্বান।
তুমি আসবে বলে...
অপেক্ষার পূর্ণ পকেটে কুড়াতে পারিনি কিছুই,
নিতে পারিনি তাই বসন্তের কোনো দান।
পূর্ণতার অনুভূতির ভরা সন্ধ্যেবেলায়
নীরবে বসে আছি আমি একেলা এই বকুলতলায়।
আজ কেন তবে বারংবার পড়ছে তোমায় মনে?
মাথার উপর জ্বলজ্বল করছে একটি তারা—
সেই কি তুমি? আমায় দেখছো চুপিচুপি?
জ্বলছো তাই একা একা ঐ দূর গগনে...
হতাম আমি দমকা হাওয়া,
তোমার শুকনো ঐ দুটি ঠোঁটে এনে দিতাম সজীবতার ছোঁয়া।
আজ আমার থেকে তুমি আছো অনেক দূরে—
দেখছো একা, লুকোচুরি খেলছো আমায় নিয়ে।
কোথায় গেলে মিলবে তোমার দেখা?
বলবো দু-চার কথা, তৃষ্ণার্ত হৃদয় জুড়াবো তোমার মধুমাখা বাণী দিয়ে।
হয়তো আর কোনদিন পাব না সে উপাখ্যান...
তোমায় নিয়ে লিখতে বসেছি, ফাগুনকে উপেক্ষা করেছি;
ঘৃণাভরে বসন্তও তাই করেছে আমাকে প্রত্যাখ্যান।