অবহেলার আদর, স্নেহে বড় হতে হতে
আজ এত বড় উপেক্ষা—সে তো আমার পরম আত্মীয়।
এই হৃদয় থেকে একে একে বিদায় নিলো
আনন্দ, সুখ এবং ভালোবাসা।
কিন্তু দুঃখ সে আজও আমাকে ছেড়ে যেতে পারেনি।
অবজ্ঞার দুষ্টু মিষ্টি সোনালি পরশ ছায়ার মতো
আগলে রেখেছে আমাকে—অনিদ্রা, ক্লান্তি আর অপেক্ষার সাথে
কানামাছি খেলতে খেলতে পার হয়ে যায় জীবনের অর্ধেকটা বেলা।
আক্ষেপ, পিছুটানও মাঝেমধ্যেই আসে সঙ্গ দিতে,
কিন্তু বিষন্নতা ও আমাকে একলা রেখে যায়নি কভু, কোনোদিন।
জীবনের বাকি অর্ধেক বেলা ওর সাথে খুনসুটি করেই পথচলা।
আমি কতবার তোমাদের আনন্দমুখর পরিবেশের একজন হতে চেয়েছিলাম,
কিন্তু কষ্ট বারংবার জোর করে আটকে রেখেছিল তার মায়ার বেড়াজালে।
কষ্টের সেই বেড়াজাল ছিন্ন করে তোমাদের মাঝে ফিরবো—
নুয়ে পড়া জীবনে এমন দুঃসাহস কখনোই দেখাতে পারিনি।
একবার ভেবেছিলাম, সকল বন্ধনের তার কেটে দিয়ে
সুরের সাথে বন্ধুত্ব করবো; লালনের মতো গান গেয়ে বেড়াবো ভবঘুরে।
কিন্তু বেসুরো কণ্ঠে তা আর হয়ে ওঠেনি।
উপহাস আর তাচ্ছিল্যও তাই কথা শোনাতে ভোলেনি।
যা হবার, ঠিক তাই হলো—অনাকাঙ্ক্ষিত হতাশা
নিলো অনেকটা নির্লজ্জের মতো আপন করে।
এত কিছুর পরও এতটুকু বিশ্বাস ছিল:
স্বপ্নিল স্বপ্নরা নীরবে আলিঙ্গন করবে আমাকে।
কিন্তু একদিন দুঃস্বপ্ন আর দুশ্চিন্তার হাওয়া
কালবৈশাখী ঝড়ের মতো আঁচড়ে পড়লো সেই দ্বীপে;
চূর্ণবিচূর্ণ করে দিল ভাঙা কাচের মতো।
বুঝে গেছি, আমি বা ওরা—কেউ কাউকে আর
হয়তো কোনোদিন ছেড়ে যেতে পারব না।
এ সবই হয়তো নিয়তির লিখন...