শেওড়া গাছের দুঃখ ১৬/১১/১৯
পান্না আকন্দ
অর্জুনের ঘরে খাট নেই,
সামান্য তেল নুন লাকড়ি
তাতেও বৃষ্টির পানিতে স্যাতস্যাতে।
ময়লা ছেঁড়া কাপড়ে ছোটন
বউ রানীর গলায় অভাবের মিছিল
বাড়ীর কর্তা পরিচয় দিতে বেশ অনীহা।
বাড়ির দক্ষিণে শেওড়া ডালে আশার বাসা
কাঠটুকরা, দোয়েল, বুলবুলিও নীরব।
রোজ রাতে আসা একটা জাতি সাপের যত্ন
আর শেওড়ার খসখসে পাতায় নথিবদ্ধ করা
জীবনের কালো অধ্যায়,বিনির্মানে সুখ।
সামান্য বয়সে শেওড়া গাছে সুরঙ্গে
মৃত্যুর আহ্বান দিনকে দিন ক্ষয়ে যায়,
মানুষ তার কত দিতে পারে এ জগতে
তারও বুক ভারী হয় ভেতরের ফাঁকা পূর্ণ করতে।
একসময় মনে হয় তার আর কিছু নয়,
সবি ঐ শেওড়া গাছের দুঃখ মনে হয়।
জীবন নীরব,নির্বিশেষে জানান দিতে থাকে
তেল নুন লাকড়ি সব মিলিয়ে
এ দেহ তলিয়ে যাবে অতল গহ্বরে।