আসবে এখানে? কেউ আসে না এখানে,
আজরাইল, যমরাজ ঘুরে অলিতে গলিতে!
বাতাসে ভাসে মৃত্যুর মিছিল আর বিদ্রোহ ঘরে ঘরে
এখানে সমাজ চলে নেক্রোপলিশের গুরুতর নিয়মে,
এখানে কেউ আসে না, তবে বন্দী হয় নিজের অজান্তে।
ঘুমন্ত নগরীতে আজ উড়ে জ্বলন্ত অগ্নি শিখা,
বক্ষে বক্ষে আজ বিঁধে আছে গোলাপের কাঁটা।
তবে পেতে পারল একগুচ্ছ লাল সন্ধ্যা মালতী,
মালতীর তরে বাঁধা যৌবনের ভাসমান তরী!
এমন সুখ পেতে হলে হতে হবে কাঁটাতারে বন্দী।
সোডিয়ামের আলোয় যারা জীবনের গল্প বুনেছিলো-
নেক্রোপলিশের নিয়মে তাদের নিভিলো জীবন আলো।
লাশকাটা ঘর সময়ের দৌরাত্ম্য চলে এখানে সেখানে,
অস্থিত্বের আত্মগ্লানির করুন চেহারা কাফনের মোড়কে।
তারপর প্রচণ্ড তৃষ্ণা আসে বুকে, সেও আসে ধেয়ে।
ঐহিক যেন মুহূর্তেই ডুবন্ত সূর্য, হঠাৎ নিরুদ্দেশ,
থাকে শুধু জমে থাকা কাফনে মোড়ানো অস্থিত্বের লাশ।
স্পেন থেকে ইতালি, আঁকা হয়েছে কত শত ছবি,
কখনো কি আঁকা হবে মহাকালের সাথে সন্ধি?
এটা পরিণত প্রায় মৃত্যুর দেশে তবু সকালে সূর্য হাসে,
কেন আসো মৃত্যুর গ্লানি নিয়ে? নক্ষত্র অভিমানে!
যদি তুমি কখনোই না আসতে, আমৃত্যু মানুষ বাঁচে!
কৃষ্ণের মোহিনী রূপে যদি সেদিন অমৃত দিত সঁপে,
তবে কি অসূরের ন্যায় মানুষ অমৃত পেত? হত অমর!
দেবতার ন্যায় মানুষ পেত না তোমার স্পর্শের প্রহর,
কিন্তু তুমি এলে, সম্পদ শুধু সাড়ে তিন হাত দিয়ে গেলে।