একটি কবিতা লিখতে চেয়েছিলাম,প্রেমের কবিতা!
কিন্তু ভয় পেয়েছি, যদি সেই প্রেমে থাকে অপূর্ণতা।
অপূর্ণ চাঁদকে কেউ ভালোবাসতে কখনো দেখি না,
সবাই খোঁজে চন্দ্রিমার পূর্ণ শরতকালের পূর্ণিমা।
পূর্ণ চাঁদ আর অর্ধ চাঁদে বিস্তর পার্থক্য,
প্রেমিকের মনে থাকে প্রেয়সীর মহা যজ্ঞ।
গোমড়ামুখো অমাবস্যাতিথি কি পছন্দ তোমার?
তাই বুঝি অমাবস্যা অন্ধকার করেছে চারিধার।
ভাবছো! পুড়তে হবে কি প্রণয়ের মহা দাবদাহে,
ভয় নেই, করব শীতল বসন্তের স্নিগ্ধ আবহে।
চল মহাকাব্য শুনি, অতঃপর প্রেমের কবিতা খানি,
তুমি পড়েছো কিন্তু কাঁপছো থর থর-
শিহরিত মনে তুমি বললে মহা প্রলয়ের বাণী।
তুমি কি শিবের মহা প্রলয়ের মহা কাব্য শুননি?
অসূর বিনাসে কি নৃশংস রূপ ধারণ করেনি?
দক্ষযজ্ঞের অগ্নিকুন্ডে ঝাপিত আয়ু বিসর্জিত
পার্বতীর শবদেহ মস্তকে তার মহা তাণ্ডবনৃত্য।
তুমি কি রাধা কৃষ্ণের প্রেমের মহাকাব্য শুননি?
যথা তথা যাই, কৃষ্ণকে রাধা যতদূর মনে চায়
চাঁদমুখে মধূর হাসে তিলেকে প্রাণ জুড়ায়।
তাদের প্রেমে সাগর শুকিয়ে মরুভূমি হয়েছিলো,
রাধা ভাগে প্রেম বর্জিয়া, সর্বস্ব কৃষ্ণে সঁপিলো।
সীতা রামের ভালোবাসার উপাখ্যান কি পড়নি?
রামের সুমতি আজ সীতার মনের ব্যাকুল কুঞ্জে,
রাম সীতা লক্ষণ, ইতিহাস ব্যক্ত হনুমানের লেজে।
সীতা হলো হরণ, ভিক্ষুক রূপী রাবণের হস্তে,
কণ্ঠ, হস্থ, বক্ষের অলঙ্কার ছুড়েছে মাটির বুকে।
রাবণের বিপরীতে যুদ্ধ ঘোষণা মহামতি রামের,
রামের সনে লক্ষণ, বিভীষণ আর ছিল হনুমান
রামনের লঙ্কাপুরী ধবংস হলো রূপকে মহাশ্মশান।