হয়তো আমি মারা যাবো, প্রহর গুণছে আয়ু,
জীবনের মানে জানি না! দেখেছি শ'খানেক সাধু।
যদি প্রহর আসিয়া উপস্থিত হয়, অন্তিম হয় ক্ষণ,
স্বার্থ নিয়ে যুদ্ধ কি থামবে? নাকি চলবে মহা রণ?

অষ্টম দিবসের প্রথম প্রহর, চলেছি জীবনের রণক্ষেত্রে,
হয়তো হবো জয়ী নাহয় অন্তিম রচিত হবে প্রহসনে।
যদি গাড়ির চাকা যায় খোলে, যদি দুর্বৃত্ত করে অগ্নির খেলা!
তবে কোথায় দাড়াবে স্বপ্নের তরীর বৈঠার জল খেলা?

অজানায় শত যুবক দিচ্ছে ঝাঁপ, জীবনের মানে গেছে ভুলে,
ভোরের আলো দেখে না ওরা, মিটি মিটি সূর্য হাসে।
হয়তো অমাবস্যার ম্লান আলোয় মিশে যাবে শত প্রাণ,
অথবা তারায় তারায় ভরে যাবে দূরের এই আসমান।

হয়তো আমি থাকবো না, পৃথিবী হবে রঙিন,
ঝলমলে আলো দেখবো না, জিজীবিষা হবে প্রবীণ।
মরুর বুক সবুজ হবে, ফুলের কলি হবে বাহির,
তারা নবজাতক; জ্বলে উঠুক যেন সময়ের প্রবীর।

হয়তো আমি গত হবো, আকাশে যাব ঝুলে,
স্বর্ণ লতা কি জড়িয়ে ধরবে আকাশ? যেন মরে!
হয়তো স্বর্ণ লতা তার শাখা খোলে আকাশ করিবে গ্রাস-
অথবা তার রঙিনত্ব হারাবে, আকাশ করবে উপহাস।


*প্রিয় কবি জীবনানন্দ দাসের কবিতা মনোসরণি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আমার এই কবিতার নামটি নেওয়া।