হঠাৎ দেখা দিলো মাতার বিরল রোগ,
রক্ত জমাট কাঁশি আর ঘরের চালে কুহক।
হুতুম ডাকিতেছে বহুদূরে ভয়াবহ করুন সুর,
ঘুম নেই সারারাত আঁধার যেন স্থির।
রাত যেন শেষ হবে না ডাহুকের ডাক ডাক,
বসুকুমারের মনে অতীতের জীবনের হাঁক।
রাত শেষে আঁধার কাটলো হল আলোর দেখা,
তবে সেই আলোর ঝলক মায়ের হলনা দেখা।
এত প্রিয় বিদায়ে করুন বাদ্য বাজিলো মনে,
সর্বস্ব বিলীন হলো, প্রাণটি মাত্র ছিলো দেহে।
বসত ভিটে চলে গেল, মহাজনদের খপ্পরে,
সাজানো স্বপ্নের মহাকাল তার চোখে ভাসে।
ছোট দুটি বোন আর মা বাবার সুখের সংসার,
সবকিছুই চললো অতলে, আজ সে অনাহার।
ভিখারীর ভেসে ঘুরে দেশে দেশে, স্বপ্ন হল ছাই,
অমাবস্যা দিলো হানা, জীবনের চড়াই, উৎরাই।
বিশটি বছর চলিল, বসু কুমারের নাই খোঁজ,
ইতিহাসের পাতা মুছে গেল, জীবনে নাই সুখ।
হঠাৎ কাক ডাকা ভোরে স্বপ্নের সারথি,
বিশাল অট্টালিকার সামনে দাড়িয়ে এক পথিক।
বেশ তার বাবু-সাহেব, দক্ষ প্রজ্ঞের রঙমহল,
এসেছে ভীম রথি, আয়োজন যেন ইংরেজ সকল।
শুনেছি পৈতৃক ভিটা নিয়েছে কিনে পাঁচ গুনে,
মহাজন নেই তবে চুক্তি হলো পুত্রদ্বয়ের সনে।
একাকী আজ রাত্রি যাপন পুরনো সেই ভিটায়,
কত স্মৃতি আজ চোখে ভাসে, ঘুমানো বড় দায় ।
মনে অজস্র স্মৃতি, সেই কুঁড়ে ঘরের কাতরতা মনে,
নওরোজের সূর্য উঠিল তবে বসুকুমারের লাশ আছে ঝুলে।
*কাহিনী কবিতা লিখার চেষ্টা করেছি। জানি না কেমন হয়েছে। শ্রদ্ধেয় কবিরা পরামর্শ দিবেন।