যুবা আজ মহা রণে, মনের সাথে যুদ্ধে নেমেছে,
পিতা হারায়ে আজ অর্থকড়ি তার সঙ্গে মিলেছে।
এই যুবক দমে যাওয়ার নয়, বুক ভরা বল,
লেখা পড়ার পাশাপাশি হাতে তুলে নিল লাঙল ।
একে একে দেখা দিলে মহাজনদের চাপ,
যা ছিলো কেড়ে নিলো দেখালো প্রতাপ।


তারপর, অর্ধ বছর কেটে গলো, দুঃখ ভুলিল সবে,
যুবক বয়সে বৃদ্ধ হলো, পরিপার্শ্ব চাপে।
ঘরে তার পিঠেপিঠি বোন, বিয়ে উপযুক্ত,
বয়সের সাথে কানাঘুষা বাড়ে, নয়ন অশ্রুসিক্ত।
এক বোন হারিয়ে ইহাই তার রাতের তারা,
বিয়ে দিলে থাকবে কেমনে, ছিলো নয়ন হারা।

দিন যায় কাল যায়, বয়স থেমে থাকে না,
ইচ্ছা ছিলো হবে সমারোহ, অভাবে তা হল না।
স্থান কাল, পাত্র ভেদে চললো খোঁজাখুঁজি,
উপযুক্ত পাত্র পেলে তবেই ডাকবে পুরোহিত।
অবশেষে পাওয়া গেল, ছেলে বড় ভালো,
ছেলে পক্ষে আমতা আমতায় পণের কথা উঠলো।
কথা হলো অর্থ দিবে বাকি বছরখানেক পরে,
ঝুড়ির তলায় পড়ে থাকা সম্পদ দিল বেঁচে।
কিতাবখানায় বাংলা পড়ায়, ছিলো আনা-সিকে,
এটা দিয়েই জীবন চলে, পড়াশুনার পাশে।

মা ছেলের সংসার এবার চলে মহারণে।
দুঃখ শোকের আছান চেয়ে ডুকড়ে ডুকরে কাঁদে।
কি পরিহাস, স্বপ্নপুর নিবাসী বসুকুলের কীর্তিনাশ,
আহা! জীবনের কি নির্মম যেন করাল গ্রাস।
বোনের বাড়ির দেনা মেটাতে কত চেষ্টা তার,
বাড়ি দিল বন্ধক যদিও ছিল মহাজনের ত্রাস।

সময় বাধিয়ে দিলো, পাঁচ বছর ছিল হাতে,
খেয়ে না খেয়ে বসুকুমারের জীবন তরী চলে।
জীবনের যত বিষপোকার বিষধর মুখ,
আগুনের শিকায় ভষ্ম হলো সকল সুখ।