ঠক, ঠক!
দরজায় কে কড়া নাড়ে? আমি স্বাধীনতা।
ওহ্ স্বাধীনতা! এখন আসার সময় হলো তবে,
চুল পাকা এক বুড়ি দরজায় দাড়িয়ে আছে।
তার যে স্বামী সন্তান জিম্মি হয়েছিলো সেই কবে-
সে কি স্বাধীনতার অনুভূতি পেয়েছে?
সে যে নিঃস্ব, খেয়ে না খেয়ে জীবন পাড় করে।
ঠক, ঠক! আবার দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ,
এলো চুলে এক রমণীর পায়ে নুপুরের ছন্দ।
সে যে বন্দি ছিলো, হায়নার পাশবিক ছোবলে,
কত অত্যাচার আর নিপীড়নে প্রাণ গেছে ক্ষয়ে।
সে কি স্বাধীনতার অনুভূতি বুঝতে পারে?
বীরাঙ্গনা উপাধি দিয়েই রাষ্ট্র ভুলে গেছে।
৫২ বছর পর আজ, স্বাধীনতা দরজায় কড়া নাড়ছে,
বুড়ি কবেই জীবনের মায়া ত্যাগ করেছে,
বীরাঙ্গনা বয়সের ভারে নুয়ে দরজা খুলেছে।
কে তুমি? নতুন রূপের হায়নার সাঁজে, যেন বাঙালি-
স্বাধীনতা দিবো তোমাদের নতুন রূপে-
১৭ কোটি মানুষের জীবনীশক্তি জিম্মি করে।
তারপর? তারপর ৭১-এ মৃত্যু হওয়া বীরাঙ্গনার
আবার মৃত্যু হলো নতুন করে।