বার্ষিক শেষ ছুটি চলতে শুরু করেছে,
তল্পিতল্পা বেঁধে পিসির বাড়ির পথে-
রিকসার খোঁজ করছিলাম, অবশেষে পেলাম।
রিক্ততার ক্লেশ, চোখে মুখে কেমন ক্লান্তি,
অতিরিক্ত জ্যাম জেনেও ব্রীজে যেতে রাজি।
"আচ্ছা মামা সব ছাত্র কেন চলে যাইতাছে?"
জাকির মামার আকস্মিক প্রশ্ন মলিন কণ্ঠে।
খুব উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বললাম শীতের ছুটি দিয়েছে।
বুঝতে পারছিলাম তার মনে শান্তি নেই-
আবেগময় চেহারা নিয়ে, যাত্রীর অপেক্ষায় ছিল।
"মামা আপনাগো ইস্কুল কলেজ কয়দিনের ছুটি?
এমন কইরা তো শহর অয়না কখনো খালি।"
আমি বললাম- মামা ১৫ দিনের ছুটি দিল যে,
এত বড় ছুটি ছাত্র সমাজ কবে আর পাবে।
বুঝি তার মনের কথা, তাই বাড়ালাম আলোচনা-
তিনি বললেন- "এই মাসের শেষেও যদি খোলে,
ছাত্র তো আইবো না, নির্বাচন যে কয়দিন পরে।"
কথা বলে জানলাম তিন সন্তানের জনক তিনি
দুইজন স্কুলে পড়ে আর অন্যজন মাদ্রাসাওয়ালী।
জাকির মামার কপালে অদৃশ্য চিন্তার ভাঁজ,
আয় রোজগার নেই তিনদিন হলো আজ-
কিভাবে চলবে তার সংসারের উজ্জীবিত তাঁজ?
এরকম হাজার জাকির আমাদের আশেপাশে
সেবকের নামে ভক্ষকেরা কয়জনের খবর রাখে?
জাকিরের ঘরে যে চাল নেই, ভাতে মরে সবে-
গরীবের নামে আসা রেশন কেন দানবের পেটে?