চারদিকে ফুল ফুটেছে, কৃষ্ণচূড়া হাসে আপন মনে;
ফুল ফোটেনি শুধু প্রেমিকের সুরে, অশ্রু ছিল নয়নে।
কেন এলে তুমি বসন্ত? সংকীর্ণ বাতায়ন করেছি বন্ধ,
তুমি এলে, দরজায় দাড়ালে, হারালাম যেন মনের ছন্দ।
ফুটেছে শিমুল থোকায় থোকায়, মৃত্তিকা হলো লাল-
পুষ্পিত পলাশের ভারে তরুণ ডগা গেছে নুয়ে,
ব্যাকুল হৃদয়ে আজ দুয়ারে বসন্ত আছে দাঁড়ায়ে।
কোকিলের কণ্ঠ ভাসে, পাখিদের মনে চলে গুঞ্জন,
প্রেয়সী মোর কাছে নেই, কে বুঝিবে বিরহ মনের আবেদন ?
তবু আমার এ পরাণ ছুটে, তোমার স্বপ্নে বিভোরতা,
বরনে বরনে তোমায় বেঁধেছি নয়নে, দিলাম সহাস্য মালা ।
প্রেয়সী নেই কাছে, বসন্ত এসেছে ধরণীর প্রাণে-
তাই বুঝি শীতের করুন রিক্ততা রয়ে গেল মনে।
যত রক্তিম আভা ছিল কৃষ্ণচূড়ার পরতে পরতে,
সব লাল যেন রক্ত জমাট বিদ্রোহ প্রেমীকের বদনে।
আমি রিক্ততার করুন সুরকে উপলব্ধি করি নয়নের কোণে-
বিহঙ্গ তার কথার মাধুরীতে বিরহ বিছিয়ে চলে
যেন সকল বিষন্নতা, সকল আত্মহারা বিরহের বসন্ত আগমনে।