মানবের কানে এক অলক্ষুণে সুর, থাম থাম
রক্তাক্ত পালক আর ছিন্ন মুণ্ডু পাহাড় সম,
অর্ধভুক্ত যকৃৎ আর চারদিকে জমে আছে প্লীহা
ডাহুকের সুর আজ মানবীর কপালে অমানিশা।

আমি! মন্থর মেঘ, কখন ঝড়িয়া পরে অবনতমুখী,
হারায়েছে, হারায়েছে কী সে? অসীম আকাশে-
অনন্ত কালে ধরেছে মরীচিকা, ভেঙ্গে গেছে নীড়,
রহস্যের দ্বার উন্মোচিত আজ তাই মহাশূন্যে ভাসি।

শ্মশান শবের বুকে জেগে থাকা পিপাসার শ্বাস
চারদিকে ধুপছায়া নিভে নিভে চলে নিশ্বাসপ্রশ্বাস।
আবছা আকাশে সাদা ডানা ঝাঁটাচ্ছে ডাহুক,
হয়তো মাঝরাতে দেখেছে ভুতুড়ে দ্বীপের চোখ।

আমি! বিদেহী, ধুপ ধোয়ায় বিরহীর ছায়াপুত্তলিকা,
অর্ধ গলিত মস্তক থেকে উড়ছে উড়ন্ত শিখা!
অর্ধভুক্ত হৃৎপিণ্ড থেকে ভাসে অলিখিত প্রবেশিকা।
জ্বালো, মৃত হিম চিতা জ্বালো, জলন্ত অগ্নিশিখা,
শবের বুকে নিভে যাবে শত বছরের জমা পিপাসা।