ধরণীর বুকে যদি আসে এথেনার মহাপ্রাণ!
আসুক অন্ধকারের পূর্বে গোধূলির তীর্থ স্নান,
ওগো বীণাবাদিনী, তোমাকে যদি খোঁজে পাই!
ধরণীতে আসুক মহাকালের নৃশংস পদচিহ্ন,
মেঘে ঢাকা বজ্রপাতে খোঁজে পাব ঠাঁই।
ওগো বীণাবাদিনী,
গোধূলির প্রহরে সুরের মিতালী দিবে উঁকি,
ক্ষণে ক্ষণে সুখের খোঁজে দুঃখ হবে ভাগাভাগি।
শেষ বিকেলের প্রান্ত ছুঁয়ে রবি ঠাকুর দেয় ডুবি,
সন্ধ্যা নামলে আলো জ্বালো, যেন কোন জোনাকি।
হে আকাশের উজ্জ্বল তারকা,
কোলাহলময় শহরের দেয়ালে ভালোবাসা আঁকা।
যদি তুমি ভাবো এটা কোনো ছন্দের প্রহসন,
তাহলে জেনে রাখো তারকারাজির মহা প্রেম।
হয়েছিলো যখন ভালোবাসা নিস্তেজ,
মেঘের আড়ালে ঢেকে গিয়েছিলো চাঁদের মহাপ্রাণ।
ওগো পুষ্পিত নন্দনকানন,
অজস্র ফুলের মেলা, হয়তো হবে তোমার আগমন,
কিন্তু তুমি এসেও আসো নি সেদিন-
গাড়ির চাকায় পিষ্ঠ হলো ঘুমন্ত এক প্রবীণ।
অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনায়, স্বচক্ষে দেখি
কাঠ গোলাপের মৃত্যু,
ল্যাম্প পোস্টে বসে থাকা নির্বাক পাখিও অশ্রুসিক্ত।
ঝরে যাওয়া কৃষ্ণচূড়ার চোখেমুখে শোকের আবেশ,
ফ্যাকাশে সোনালুর মনে নিরব কান্নার রেশ।
জীর্ণ জবার প্রতিবাদী মুখ, ঘাসফুল করে সমাবেশ,
শুভ্র শিউলির সংশয়, বকুলের বিভৎস প্রবেশ।
গোলাপের গভীর গোঙ্গানি, কামিনীর বিমূঢ়তা,
নয়নতারার নয়ন নিস্তব্ধ, অপরাজিতার অস্থিরতা।
সারি সারি পাতা বাহারের সে কি আর্তনাদ,
লজ্জাবতীর লাজুক চেহারা অঙ্কনে অবসাদ।
ওহে বীণাবাদিনী,
এসে বীণার আওয়াজ তুলো,
জোনাকি পোকার আলো জ্বলবে,
প্রজাপতি তার আপন ডানা মেলো-
নন্দন কাননের বিদ্রোহের অবসান হোক
তবে আজ যুবকের বেশে প্রবীণ ফুটোক।