দোয়েল পাখি,দোয়েল পাখি শিষ কেন দিয়ে যাও?
কংশর জলে ভাসিয়েছি যে কলা পাতার নাউ
উড়োজাহাজ বানিয়েছি বইয়ের পাতা ছিঁড়ে
দেখবে এবার তোমার চেয়ে বেশিই কেবল উড়ে।
যেই বাজালাম মধূর সুরে নারকেল পাতার বাঁশি
টুনটুনির যে শুরু হল টুনটুনানি হাসি।
যেই পরেছি হিজল ফুলের টকটকে লাল মালা
রাঙ্গা লেজ নেড়ে,বুলবুলিটাযে বাড়িয়ে দিল জ্বালা।
আমি যখন ঘুড়ি উড়াই কংশ নদীর তীরে
কাক,চিল,ফড়িং গুলো দেখে দেখে উড়ে।
বউ কথা কউ,কুটুম পাখি কাল-বৈশাখির ঝরে
কোকিল পাখি চৈত্র মাসে হাহুতাশায় মরে।
বাজ পাখি আর হুতুম পেঁচা চোখ বাকিয়ে চায়
কানা,কুড়া,ল্যাংড়া বাতাস সুরসুরি দিয়ে যায়।
ভেংচি কেটে লাফ দিয়ে যায় কচু বাগের ব্যাঙ্গ
আবার এলে লাঠির গুতোয় ভেঙ্গে দেব ঠ্যাং।
দুঃখ নিয়ে যেই না গেলাম কংশ নদীর তীরে
গাং চিলেরাও ভেংচি কেটে উল্টো উড়ে নাচে।
গ্রামটা ছেড়ে চলেই যাব যেদিক দুচোখ যায়
দুরেও দেখি উড়ে বেড়ায় কানা বগির ছায়।
শালিক পাখির কিচিরমিচির হলদে পাখির ডাক
বাবুই,চড়ুঁই পাখিকে শিয়ালে ধরে নিয়ে যাক।
আমার সাথে আঁড়ি বুঝি করেছ সবাই মিলে
ধরতে পারলে সবকটাকে খাব আস্ত গিলে।