তীব্র রোদ্দুরের তাপে ঝলসে উঠেছে চারপাশ। পাথরের মতো ভারী বাতাস, মনে হয় যেন নিঃশ্বাস নেওয়ারও শক্তি নেই। আমার হৃদয়ও সেই রোদ্দুরের মতোই জ্বলছে, পুড়ছে দীর্ঘদিন ধরে। তৃষ্ণার্ত, পিপাসায় কাতর হয়ে বসে আছি। একটু জল চাই, একটু শান্তি চাই, কিন্তু চারপাশের শূন্যতায় এক ফোঁটা জলও খুঁজে পাই না।

মনে হয় এই পৃথিবীতে আমি একাই আছি। এই অন্ধকার, এই তপ্ত বালুকার মাঝে হারিয়ে গেছি। যেন সবকিছু মুছে গেছে, শুধুই পুড়ে যাওয়া ধূসর স্মৃতিরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। কেবল আমার হৃদয়ের ভেতরে এক অব্যক্ত তৃষ্ণা, একটা আকাঙ্ক্ষা, যে কেউ আসবে, হাত বাড়াবে। আমার পাশে বসবে।

আমার এই পোড়া হৃদয়ে সে জল ঢেলে দেবে, শান্ত করবে। একটু শান্তির স্পর্শ, একটু মমতার ছোঁয়া—এটাই তো আমি চাই। কিন্তু কই, কেউ কি আসছে? আমি চেয়ে আছি, এলো বলে কেউ। তবু কোথাও কোনো সাড়া নেই। একাকী এই তাপের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি।

এই কঠিন সময়ে যখন রোদ্দুরের মতোই আমার ভেতরের সবকিছুও তৃষ্ণার্ত হয়ে উঠেছে, আমি শুধু চাই—কেউ একজন আসুক। আমার ক্লান্ত চোখের দিকে তাকিয়ে, একটু বুঝুক। আমার হাতটা ধরুক।

তারপর খুব ধীরে পাশে বসে আমার হৃদয়ের দাহকে জল দিয়ে ঠান্ডা করুক। একটুখানি কথা বলুক, একটুখানি ভালোবাসার ছোঁয়ায় আমাকে সেই পুরনো শান্তির দিনে ফিরিয়ে নিয়ে যাক। সেই মুহূর্ত, যখন আমার হৃদয়ে কোনো তৃষ্ণা ছিল না, শুধু ভালোবাসায় ভরা ছিল।