আহা! চেনা শহরের বুকে গর্জন করা হাহাকার,
দূর কোনো বাতাসে কেঁপে ওঠা স্বপ্নের পাতাগুলি।
রাত জাগা ভ্রুকুটি, আনমনা দৃষ্টি, আমার চোখে সেঁধিয়ে থাকা সড়কের গল্প। চায়ের কাপে ভাসে অতীতের স্মৃতি, মনের পায়ে খড়ম নেই,
তবু ছুটে চলা অবারিত।
পায়ে পায়ে গড়ে উঠা পাথরের বাগান,
আকাশ পানে তাকালে দেখি চাঁদের কাব্যিক মুখ, তাদের শব্দ নেই, তবু কথা বলে,
আমার হৃদয়ে লেখা দিনলিপির ভাঁজে ভাঁজে।
কতটা সময় কেটেছে এমন অর্ধচন্দ্রের আলোয়,
যখন ভাবনাগুলো শরীরের চেয়েও ভারী হয়ে ওঠে।
রাস্তাগুলি একেকটা কাব্য, কেউ পড়ে,
কেউ পেরিয়ে যায় চুপচাপ। সাহসী হৃদয়ের কান্না,
যেন থেমে থাকা ঝড়। মাঝে মাঝে মেঘের ভিড়ে লুকিয়ে থাকে অজানা অনুভূতির নদী, তৃষ্ণা যেন বহুদূরের, কিছুই তবু থামেনা, শুধু বুকের বুকে নিঃশ্বাস।
চুলে এলোমেলো হাওয়ার ছোঁয়া,
কাঁধে রোদ আর মেঘের আড়াল। আমি হাঁটছি,
চলছি, খুঁজছি কোথায় সেই ছন্দ যা মিলবে এই শহরের প্রাণের সাথে। লাল দাগে আঁকা এই জীবনের মানচিত্র, এক টুকরো কবিতার মতন সবই থেমে থাকা।
সবটাই এক বিরতিহীন সঙ্গীতের মতো।
তুমুল রোদ্দুরে জ্বলে ওঠা সেই সকালের,
আকাশ কাঁপানো চিৎকারে। আর গাছের পাতায় বাজে নুপুরের আওয়াজ, তবু শিকড়গুলো শুয়ে থাকে মৃত, যেমন তোমার মুখ দেখে আকাশ খোঁজা চোখ।
আমরা জানি না, সেও জানে না, এই শহরের রাতগুলো, এই হৃদয়ের অতল জ্বালা, কখন থামবে, কখন আবার জ্বলে উঠবে। তবু জীবন, তবু খেলা,
তবু রঙ আর মাটি, তোমার আমার গল্প, এক অপরূপ দাগ টেনে চলে। শেষ নেই, শেষ হবারও তো চাহিদা নেই।