এইতো সেদিন তোমার বাড়ি গিয়েছিলাম,
চলে যাবার অনেক পরে,
বাড়িটা এক বিস্তীর্ণ জলের মাঝে ভাসছে,
চারপাশে শালুক আর মিষ্টি ফুলের গন্ধ,
শব্দহীন পাখির মিষ্টি আওয়াজ ভাসছে,
কোথায় স্যাঁতস্যাঁতে যেন এক দেহ পোড়া গন্ধ?
গলি, পথ, সবই হারিয়ে গেছে, আগের মত আর নেই,
শুধু বাড়িটা এক নীল জলে ভাসছে,
জলটা স্ফটিকের মতো স্বচ্ছ, ভিতরটা সব দেখা যায়।
রাজপ্রাসাদে সবাই আরেক শহরে পালিয়ে গেছে,
একটি পুরানো সিঁড়ি দিয়ে, সেগুলো এখন অতীত,
যেন এখনও গুনগুন করে চলে;
বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই নির্জন করিডোর,
নিউমার্কেটের দীর্ঘ পথের ধুলো,
রিকশার চাকায় চাপা পড়া স্মৃতি,
দাঁড়িয়ে থাকা মোটরবাইকের সাইলেন্স,
হাসপাতালের সেই ঘর, বারান্দায় নিঃশব্দ ধ্বনি,
বেডে শুয়ে থাকা এক বুকের নিঃশ্বাস।
কেবিন পার হয়ে,
হঠাৎ শ্রাবন্তী এসে দরজাটা খুলবে,
কখনো ভাবিনি, সে আমার চোখের সামনে দাঁড়িয়ে,
যতটুকু ছিল অদেখা, সব যেন আবার ফিরে আসছে,
শুধু তুমি নয়, আমি আমার নিজেকে খুঁজে পাচ্ছি,
তোমার বাড়ির মধ্যে থাকা সেই অদৃশ্য নদী,
এখনো ভাসছে, সময়ের বালি ছড়িয়ে,
আমরা শুধু একে অপরের অন্তরে ডুব দিতে থাকি।।