নিশি শেষের অন্ধকারে একা বসে ভাবি,
বাহিরে আলো জ্বেলে দিচ্ছে নতুন প্রভাত।
বলেছি তাকে, 'বেশ তো মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছিস,
আর তোর শিকড় ছড়িয়েছে বহুদূর সার জল গিলে খেতে।'

অকুল দরিয়ায় ভাসে যে মন, হারায় যে পথ,
পায় না খুঁজে জীবনের সঠিক মর্মার্থ।
তবে তোর শিকড় আছে গভীর মাটির নিচে,
প্রতিরোধের ধ্বজা তুলে বলিস, "আমি আছি।"

প্রকৃতির মাঝে মিলে যায় তোর সেই স্বপ্ন,
প্রতিটি শিরায় বয়ে যায় জীবন তরঙ্গ।
মাঠে মাঠে খুঁজে ফিরি সবুজের দিশা,
তোর শিকড়ের গভীরে খুঁজে পাই কিশোরের আশা।

প্রভাতের রোদে ঝলমল করে তোর সেই দৃষ্টি,
তুই যে দাঁড়িয়ে আছিস শক্ত মাটির বুকে।
তোর শিকড়ের কাহিনী শোনায় প্রকৃতি,
মর্মে মর্মে বেজে ওঠে নতুন জাগরণ।

তোর চোখে দেখেছি সেই দুর্জয় আশ্রয়,
যেখানে নেই কোনো ভয়, নেই কোনো বাধা।
তুই যে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছিস অভয়,
তোর শিকড়ের মাঝে মিশে গেছে শক্তি এবং সাধা।

তোর দিকে তাকিয়ে দেখি প্রকৃতির খেলা,
পাখিদের কণ্ঠে শোনা যায় প্রেমের মেলা।
তুই যে বাঁচার প্রতীক, স্থিতির প্রতিমা,
তোর শিকড়ে লুকানো আছে সমস্ত সৃষ্টি ও ধ্রুবমা।

প্রতিটি পাতা, প্রতিটি ডাল, তোর সঙ্গে বেঁধেছে বাঁধন,
মাটি থেকে আকাশে উঠে গেছে জীবনের গান।
তুই যে অনন্ত কালের সাক্ষী, সময়ের নির্ভীক,
তোর শিকড়ে জড়িয়ে আছে অবিনশ্বর প্রকৃতি।

তোর শিকড়ের পথে পথ ধরে হাঁটি আমি,
প্রতিটি পদক্ষেপে পাই জীবনের ধ্বনি।
তুই যে আমার আশা, আমার প্রতিজ্ঞা,
তোর শিকড়ের সঙ্গে বেঁধেছি জীবনের বন্ধন।

বলেছি তাকে, 'বেশ তো মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছিস,
আর তোর শিকড় ছড়িয়েছে বহুদূর সার জল গিলে খেতে।
এই পথের শেষে পাবো তোর সেই শিকড়,
যেখানে মিশে আছে জীবন ও মৃত্যু, প্রেম ও প্রকৃতির।

মাটি থেকে আকাশে উঠে যায় তোর সেই কাহিনী,
প্রতিটি শিরায় বয়ে যায় জীবনের প্রবাহিনী।
তুই যে স্থিতির প্রতীক, অনন্তের চিহ্ন,
তোর শিকড়ের সঙ্গে মিশে গেছে আমার জীবন।

তোর দিকে তাকিয়ে ভাবি প্রকৃতির সেই দিশা,
যেখানে মিশে আছে প্রেম, শান্তি, এবং আশা।
তুই যে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছিস অনায়াসে,
তোর শিকড়ের পথ ধরে হাঁটি, খুঁজে পাই জীবনের মানে।।