শ্রাবণের বৃষ্টি নামে শ্রাবন্তীতে,
নীরবতা ভাঙে ঘনঘোর মেঘের আওয়াজে,
তোমার চোখে এখনো জমে আছে দুঃখের ছায়া।
শ্রাবণের রাতগুলোয় আকাশ ভেঙে নামে বৃষ্টি,
হয়তো সেদিনও এমন বৃষ্টি ঝরেছিল—
তুমি ছিলে মায়ার ঘোরে, হারিয়ে ছিলে স্বপ্নের ভিড়ে।
আজো শ্রাবণ এলে, সেই পুরোনো স্মৃতিগুলো
হৃদয়ে টেনে আনে বিষণ্ণতা,
যেন কোনো একান্ত নির্জনতায় হারানোর গান।
তোমার ছায়াময় মুখের রেখা—
অন্ধকারে আলোর মতো উজ্জ্বল হয়ে জলে,
তবু তার ছায়া পড়ে বৃষ্টির স্রোতে।
শান্ত শ্রাবন্তীর বৃষ্টিতে তোমার চোখের জল
মিশে যায় নদীর জলে,
যেন কোনো চিরন্তন যন্ত্রণা বয়ে চলেছে একা।
আমার মন চায় স্পর্শ করতে তোমার সেই
অবাক নির্বাকতা, চোখগুলো ছুঁয়ে দেখতে ভয় হয়,
যেখানে সব শব্দ ঝরে যায় বৃষ্টির ফোঁটার মতো।
তুমি কি জানো? এই শ্রাবণের বৃষ্টিতে
তোমার নাম লেখা আছে প্রতিটি ফোঁটার মধ্যে?
হয়তো শ্রাবণ সব স্মৃতি মুছে দিতে চায়,
তবুও মনে পড়ে,
সেদিন তুমি বলেছিলে—
"এত বৃষ্টি কেন, এত শূন্যতা কেন?"
আজ আবার শ্রাবণ এসেছে,
তোমার নীরবতা, আমার প্রার্থনা হয়ে—
এ শ্রাবণের ঝরে পড়া ফোঁটা,
শুধু আমাদের নিঃশব্দ কথোপকথন হতে,
তোমার স্মৃতির ভেলায় ভাসছে আমার মন,
আর বৃষ্টি কেবল ঝরে চলে, শ্রাবণের অন্তহীন বেদনায়।