স্মৃতির ধুলো ঝেড়ে
এক ফোঁটা অশ্রুতে ধুয়ে নিলাম পুরোনো পৃষ্ঠা,
পেছনে পড়ে থাকল বিস্মৃত উপাখ্যান—
ঈশ্বরের নীরব সম্মতি আর
বনলতা সেনের ক্লান্ত চোখে হারিয়ে যাওয়া সময়।

জীবনানন্দের করুণ পরিণতি,
হত্যা নাকি দুর্ঘটনা—
এই তর্কে হারিয়ে যায় রাতের তারাগুলো,
একটি যুগের নিঃশব্দ বিলিয়ে বেড়ায়,
শব্দহীন অভিশাপ।

পৃথিবীর বুকে বিবর্তনের বোঝা ভারী,
বিশ্বাসের জানালায় হাওয়া তান্ডব,
শূন্যতার সুর বাজে।
যদি একদিন মুয়াজ্জিনের কণ্ঠে
বেজে ওঠে ভিন্ন কোনো সুর,
যদি কোনো সন্ধ্যারতি
ভাসিয়ে নেয় অচেনা কোনো স্পন্দন,
তবে বিস্ময়ের কিছু থাকবে না!

সুচিত্রা সেনের ছায়া দীর্ঘ হয় প্রতিটি মোড়ে,
আমরা কেবল অতীতের আলো গিলতে গিলতে
খুঁজে ফিরি হারানো মুখ—
কেন যেন মনে পড়ে!
যদি হৃদয়টাকে বাঁধতে পারতাম
সময়হীনতার দোলনায়,
তবে হয়তো সব প্রশ্নের উত্তর মিলত!