নীরবতার কোলে লুকিয়ে থাকা শব্দেরা
যেন একাকী নদীর মতো বয়ে চলে।
রাতের আকাশ ভরে যায় অদৃশ্য মায়ায়,
চাঁদের আলো পাথরের বুক ছুঁয়ে
বুনে যায় নীলাভার ছন্দ।
আমি দাঁড়িয়ে থাকি সময়ের কিনারে—
হাতের রেখায় জমে থাকা হাজারো কল্পনা,
কাগজের শিরায় বয়ে যায় জীবনের গল্প।
শব্দেরা কখনো পিছু ডাকে,
কখনো মিশে যায় অজানা নীরবতায়।
তবুও আমার কলম থামে না;
তারা খুঁজে ফেরে পথ।
ঘাসের কাঁপন, বাতাসের সুর
আমার পাশে নীরবে গান গায়।
শব্দেরা ঢুকে পড়ে পাতার ফাঁকে,
মেঘের আড়ালে রেখে যায়
অস্পষ্ট আলোছায়ার ছাপ।
তবুও থেমে থাকে না গল্পেরা।
ঝরে পড়া জীবনের কাহিনী,
বৃষ্টির নরম ছোঁয়া কিংবা
রাতজাগা পাখির কান্না—
সব যেন মিলে যায়
এক অদৃশ্য কবিতার সুরে।
শেষে যা কিছু রয়ে যায়,
তারা শব্দের আড়ালে লুকিয়ে থাকে।
জীবন তাদের স্পর্শে জাগে,
মনে হয়, প্রতিটি অক্ষর যেন
একটি গল্পের জন্মদাতা।
শব্দের অরণ্যে হারিয়ে গিয়ে
আমি খুঁজে পাই নিজেকে।
একটি কবিতা রচনা হয়,
যার শেষ নেই, যার শুরুও অস্পষ্ট।
শব্দেরা একাই বলে যায়—
তাদের ব্যথা, তাদের আনন্দ কথা,
আর সেই মায়াবী নীরবতার অরণ্যে।