আগামী দিনগুলোতে,
চোখের সামনে একটা গৃহযুদ্ধ দেখতে পাচ্ছি,
রক্তাক্ত দুপুর, ছেঁড়া পতাকা,
শব্দহীন আর্তনাদ, থেমে যাওয়া শিশুর কান্না।
নরম মাটির বুকে লুটিয়ে পড়বে বিবেক,
সবুজ ঘাস কালচে লাল হয়ে যাবে,
আর মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়বে
অন্ধ বিশ্বাস, নির্বাক আতঙ্ক।
আমি শুনতে পাচ্ছি—
শহরের বাতাসে ধোঁয়ার মতো ঘনিয়ে আসছে
বিদ্বেষের কালো শ্বাস,
অভিমানের বিষাক্ত উচ্চারণ।
ভাইয়ের বুকে ভাইয়ের ছুরি,
শব্দহীন অভিশাপ,
উৎসবের মিছিলে মিশে যাওয়া
রক্তের দাগ।
আমার জানালার কাঁচে লেগে থাকবে
উগ্র স্লোগানের ছায়া,
অথচ শব্দেরা হয়ে যাবে নির্বাক,
গলিতে পড়ে থাকবে ভাঙা স্বপ্ন।
যেখানে সত্য আর মিথ্যার মাঝে
একটা পাতলা পর্দা টাঙানো থাকবে,
যেখানে প্রতিবাদ মানেই অপরাধ,
ভালবাসা মানেই সন্দেহ।
আমি দেখতে পাচ্ছি—
শিক্ষকের চোখে ভয়,
পাঠ্যবইয়ে ঢুকে পড়েছে রাজনীতির বিষ।
বইয়ের পাতায় পাতায় ছড়িয়ে পড়েছে
অর্ধেক ইতিহাস,
শহরের দেয়ালে দেয়ালে আঁকা
মিথ্যে প্রতিশ্রুতি।
আমি শুনতে পাচ্ছি—
বুক চিরে বেরিয়ে আসা কান্নার প্রতিধ্বনি,
চোখের পাতা ভিজিয়ে দেওয়া
অপ্রকাশিত কবিতা।
তবু আমি লিখবো—
শান্তির কবিতা, আশার কবিতা,
যে কবিতা পড়ে একদিন
একটা শিশুর মুখে ফুটবে প্রথম হাসি,
একটা পতাকা উড়বে রক্তহীন,
একটা সকাল শুরু হবে নতুন আলোয়।