নিভৃতে নেমে আসে সন্ধ্যার ছায়া,
জলরেখায় জেগে থাকে নৌকোর একলা সুর,
হয়তো দূরে কোথাও ভেসে গেছে—
অথচ বুকের ভেতর বাজে কোনো অচেনা গান।

তুমি কি দেখেছো,
রোদ্দুরের শেষ আঁচল ঝরে পড়ে ঘাসের বুকে—
তার নিচেই লুকিয়ে থাকে কালবৈশাখীর ঘুম?
আমি তো দেখি, শব্দহীন কান্নার মতো
প্রতিটি শিকড়ে জমে আছে ক্লান্তি,
শুধু মুখ ফিরিয়ে তাকালেই বোঝা যায়।

তবুও জীবন কি থেমে থাকে?
রাস্তার ধুলোয় জমে থাকা পায়ের শব্দ
তাকেই কি বলে পথচলা?
নাকি প্রতিটি চরণে লেগে থাকে
এক চিলতে অব্যক্ত বেদনা?

আজ আকাশ থমকে দাঁড়িয়ে আছে,
মেঘেরা একে অপরের হাতে রেখে হাত বাড়িয়ে,
হয়তো খুঁজছে হারিয়ে যাওয়া সন্ধেবেলার অমল কুয়াশা।

তুমি কি ফিরে আসবে?
নাকি এই অপেক্ষার পালা
শেষ হবে না কোনোদিন?
নদীর স্রোতের মতো জীবন বইতেই থাকে,
তুমিহীন, আলোহীন—
শুধু রয়ে যায় বুকের গভীরে
এক ঝাঁক নীরব প্রশ্ন।

হয়তো একদিন ভোরের কুয়াশায়
তোমার পদচিহ্ন পড়ে রবে,
হয়তো একদিন চাঁদের আলোয়
তোমার মুখখানি দেখা দেবে—
অথবা থেকে যাবে শুধু
এক ফোঁটা অনাহুত অশ্রু।

তবুও, সন্ধ্যারা ফিরে আসে,
জলরেখায় ভাসে নৌকোর একলা সুর,
অথচ বুকের ভেতর বাজতেই থাকে
অচেনা অজানা ব্যথার গান।