একটা চিঠি ছিল, ভেজা পাতা দিয়ে মোড়ানো—
অক্ষরগুলো যেন ঝাপসা,
তোমার চোখের জলে ভিজে গেছে।
তুমি বলেছিলে, শীত এসে যাবে শিগগিরই,
কিন্তু শীত আসেনি,
বরং দীর্ঘ এক বিকেল পড়ে রইল আকাশের বুকে।
আমি অপেক্ষা করতে করতে ক্লান্ত,
তোমার হাতের ছোঁয়া আজও রয়ে গেছে
আমার বুকের ভেতর,
যেখানে প্রতিটা শব্দ কেবলই নিরবতাকে ছুঁয়ে যায়।

তুমি যদি ফিরে আসো,
তবু কি আমরা আগের মতো হতে পারবো?
নাকি সময়ের গহ্বরে হারিয়ে গেছে
সেইসব স্মৃতি,
যেখানে একদিন দু’জনে একসঙ্গে হেঁটেছিলাম।
বাতাসের শব্দে আজও শুনতে পাই
তোমার পায়ের নুপুরের আওয়াজ,
যেন তুমি দাঁড়িয়ে আছো অনেক দূরে,
তবুও কাছেই, যেন স্পর্শ করা যাবে,
কিন্তু এই দূরত্ব—
অকথিত, অচেনা,
যা আমাদের ভেতর জন্ম নিয়েছে।

রাত ধীরে ধীরে গভীর হয়,
শহর ঘুমিয়ে যায়,
তুমি আর আমি যেন দু’টি ছায়া,
কখনও মিলে, কখনও ভেঙে পড়ি।
তবু সেই প্রথম দেখার দিনটা
আজও মনে পড়ে,
তোমার চোখে ছিল আকাশের নীল,
আর আমার মনে ছিল বৃষ্টির প্রতীক্ষা।
আজও আমি বৃষ্টি চাই,
তোমার চোখের জলের মতো স্বচ্ছ,
তোমার স্পর্শের মতো গভীর—
কিন্তু বৃষ্টি আসে না,
শুধু শীতল দমকা হাওয়া বয়ে যায়,
আমাদের স্মৃতির বাগানে।

তুমি অভিমান করে দূরে চলে যাও,
অথচ মনে হয়,
তোমাকে আজও আমি ছুঁয়ে আছি—
অদৃশ্য কোন মোহ মায়ায়।।