তুমি আসবে বলে আমি বসে আছি এভাবে,
বুকের ভিতর জমে থাকা সমস্ত কষ্ট ঘিরে,
এই শহরের ধুলোবালি, বাতাসে মিশে যাই,
আমি যেন এক ছায়া, তোমার চোখের পানে।
তোমার ছোঁয়া পাবো বলে প্রতীক্ষায় পুড়ি,
রাতগুলোকে দগ্ধ করি নিঃশব্দ ভাঙা স্বরে,
তুমি নেই, কিন্তু তোমার ঘ্রাণ ছুঁয়ে থাকে আমায়—
তোমার অস্পষ্ট উপস্থিতি জাগিয়ে রাখে ঘুমের ভিতরে।
তুমি কেমন আছো? জানি না, আমিও ভালো নেই,
আমার ভিতরে ছেয়ে আছে কুয়াশার আড়াল,
তুমি ছিলে আমার সব আলো, সব অন্ধকার—
তুমি চলে গেলে সবই যেন মুছে গেলো এক ঝটকায়।
শহরের ভীড়ে প্রতিদিন বেঁচে থাকি একাই,
তোমার মুখখানা মনে করে ক্লান্তি ভুলে যাই,
এই ব্যস্ত শহর জানে না, আমি এক দীর্ঘ রাত
বয়ে বেড়াই—তোমার অপেক্ষায়।
আমার বুকের গভীরে কিছু দহন জমে আছে,
সেই আগুনে তুমি কি পুড়েছিলে কোনোদিন?
নাকি আমার এই নীরব লড়াই তুমি দেখোনি,
আমি যে ভাঙতে ভাঙতে গড়েছি আবার নিজেকে?
তোমার অভাবে আমার এই হৃদয়ের মাঠ,
যতটা বিস্তৃত, ততটাই একাকী আর শূন্য,
তুমি যে আমার সবটুকু ছিলে, সে কথা মানি—
তবু আজও দাঁড়িয়ে আছি, তোমার স্মৃতির কিনারায়।
তুমি ফিরবে কিনা জানি না, হয়তো ফিরবে না,
তবু এ প্রতীক্ষা আমাকে গড়ে আবার ভাঙে,
তুমি আসবে বলে আমি বসে আছি নির্বাক—
অন্তর্লীন একাকী, এক ভাঙা স্বপ্নের আশায়।