ঘুম আর ভাঙে না, পৃথিবীর গহ্বরে
আদি শঙ্খধ্বনি বেজে যায়, নীরবতায়।
শ্বেতরশ্মির স্রোত গাঢ় কালো ঢেউয়ে,
মিশে যায় অসীমের আকাশে।
সমুদ্র কাঁপে, ঢেউয়ের কোলাহলে,
মহাকালের শিলাস্তরে ফাটল ধরে,
বিষাদঘন তীরে ঢেউয়ের হাতছানি।
আমি স্থির—
সৃষ্টি থেকে দূরে, নিস্তব্ধতার বুকে,
শুনছি কেবল নীরব নিঃশ্বাস।
মহাসাগরের গভীরে লুকিয়ে থাকা
অদৃশ্য রূপকথারা ছুঁয়ে যায় আমায়।
আমি যেন জলীয় অস্তিত্ব—
অন্ধকারের মধ্যে ভাসমান এক কণা।
জন্মের প্রতিশ্রুতি টেনে নেয় গভীরে,
কিন্তু অপেক্ষা, এই চিরন্তন ঘূর্ণি।
জানি, আলো এসে একদিন ভেঙে দেবে বাঁধ,
অন্ধকারের গর্ভ ছিঁড়ে ছুটে যাবে জীবন।
তবু কোথাও ভয়, কোথাও এক গভীর তৃষ্ণা,
এই অনন্তের নীরবতার কাছে হেরে যাওয়া।
তীরের ওপারে আলো জ্বলে—
ডাক পাঠায় প্রতিটি তরঙ্গে।
তবু আমি দাঁড়িয়ে, এক রহস্যময় কণ্ঠে,
নিজেকেই শোনাই জন্মের গান।
অপেক্ষায়, পরিণতির দ্বারপ্রান্তে—
পুনর্জন্মের গল্পে বাঁধা আমার অস্তিত্ব।