সেদিন হঠাৎ করেই চোখে পড়ল,
যেন অনেকদিনের চেনা অথচ অধরা।
একপাশে রাস্তার ধুলো জমে,
পথিকের কোলাহলে মিশে গেছে দুপুরের ক্লান্তি।
গাছের পাতায় তখন বিকেলের শেষ আলো,
বাতাসে ভাসছিল ফাল্গুনের শেষ শিহরণ।
সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে
সে হেঁটে যাচ্ছিল ধীর, অন্যমনে।
তার চোখে ছিল এক গভীরতা,
যেন কোনো বিস্মৃত উপকথার ছায়া,
যেন এক পুরনো চিঠির ভাঁজে
লুকিয়ে থাকা কোনো ভুলে যাওয়া কথা।
আমি কিছু বলিনি সেইদিন,
শুধু সময়ের টানে তাকিয়ে ছিলাম,
যেন সেই মুহূর্তের খেলা
আমাকে নিঃশব্দে আটকে রেখেছিল।
তখনই সে পেছনে ফিরে তাকাল,
একটু মৃদু হাসি ছড়িয়ে দিল বাতাসে—
"কি ভাবছো?"
আমি উত্তর খুঁজে পেলাম না,
শুধু চেয়ে চেয়ে দেখলাম,
সূর্য ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাচ্ছে দিগন্তের মাঝে,
আর সময় তার পুরনো পথেই হারিয়ে গেল—
নিঃশব্দে, অনন্তের মতো।