সেদিন আচমকা তাকিয়েছিলাম তার দিকে,
অনেকদিনের চেনা তবু অজানা এক মুখ।
পথ চলতে চলতে, নিরুদ্দেশ ভাবনায়,
কেন যেন দৃষ্টি আটকে গেল তারই উপর।

শাখায় তখন সদ্য ফোটা পলাশ,
শেষ শীতের কুয়াশা মিশে আছে ভোরের আলোয়।
দিনটা কেমন অলস,
ঘুম ভাঙা আকাশের মতো ধীর,
এক মিষ্টি মন্দ্রিমায় মোড়া।

সে হাঁটছিল আপন মনে,
কোনো তাড়া নেই, কোনো গন্তব্যও নয়।
চুলের ফাঁকে রোদের নরম ঝিলিক,
জামদানির আঁচলে বাতাসের আলতো দোল।
চোখের তারায় যেন কোনো হারিয়ে যাওয়া উপকথা—
অস্পষ্ট, অথচ মোহময়।

আমি চুপ করেই থাকতাম,
যদি না সে হেসে জিজ্ঞেস করত—
"কী দেখছো?"
সেই হাসিতে ঝলসে উঠল এক বিকেলের রোদ,
এক বিস্মৃত বনলতার মায়া।
পশ্চিমের জানালার ওপারে
সূর্য তখন ডুবছিল লোহিত সাগরে,
সময়ের গভীর অবসরে এক শাশ্বত স্তব্ধতা।

পথ ফুরিয়ে এল,
রিকশার হাতলে হাত রাখতেই মনে হলো—
যদি আরেকটু সময় থাকত,
যদি আজকের দিনটা শেষ না হতো,
যদি মুহূর্তগুলো স্থির হয়ে যেত
একটু, আরও একটু...

অথবা চিরকালের জন্য।