নিশির রঙের জগতে, ঘন অন্ধকারে,
ভেসে ওঠে স্মৃতির এক ফোঁটা রোদ্দুর,
শহরের গলি বেয়ে বেয়ে ফিরে আসে
অলৌকিক কোনো কাহিনী, বয়ে যায় কাল।
মনে পড়ে সেই বালিকার হাসি,
যার ছোঁয়ায় গদ্য কবিতা হয়ে যায় এই তপ্ত দুপুর,
শুধু একটি কথা বলেছিল সে,
"চলো, ঊর্ধ্বে তাকিয়ে থাকি,
অন্ধকারের ভিতর থেকে চাঁদের আলো বের হবে।"
পথে পথের ছায়া শুয়ে থাকে নিথর হয়ে,
একা দাঁড়িয়ে, ধুলোতে মিশে যায় কালের সাক্ষী,
সময়ের ঘূর্ণনে নষ্ট হয় না কোনো স্মৃতি,
স্মৃতি হয়ে যায় সুরের মতো, গুনগুনিয়ে গান শোনাবে।
চোখের জলে লেখা প্রিয় বইয়ের পাতা,
অথবা, দিনশেষে ফিরে আসা এক রাত্রি,
আকাশের নীলে ঝুলে থাকে তারা,
আমাদের আবেগের ছায়ায়,অদৃশ্য আলো জ্বলে থাকে।
মায়াবী রাতের সঙ্গী খুঁজে চলে অপলোক চোখে,
গোপনে ঢাকা থাকে দিনের সব হাহাকার,
ভেতরের কোলাহল, বাইরে নিস্তব্ধতা,
এ যেন এক বিচিত্র সম্পর্কের চিত্র।
নদীর জলরাশিতে খেলা করে স্বপ্নের ঢেউ,
মাথার উপরে উড়ে যায় মেঘ বালিকা,
প্রেমের মতো টানা, টানা বৃষ্টির পরশ বুলিয়ে,
যেখানে প্রেমিকেরা হারায়, আবার পায়।
পথ হারিয়ে ফিরে আসি সেই অন্ধকারে,
যেখানে প্রাণে প্রবাহিত হয় এক বেদনার সুর,
দিনের মায়াবী হাত ধরে,
রাত্রির আঁকশি আঁকতে এসে।
এই তপ্ত ভিটেয় দাঁড়িয়ে,
শুনতে পাই দোয়েলের শিস, পাখির গান,
মনে পড়ে বালকের উচ্ছ্বাস,
যেন দৌড়ায় অজানায়, মুক্তির খোঁজে।
জীবনের স্রোতে আমরা শুধু পথিক,
হৃদয়ের গভীরে লুকানো কথাগুলো,
অক্ষরের ছোঁয়ায় খুঁজে পায় প্রেম,
নিষ্ক্রিয়তার এক রূপালী বাঁধন।
নিভে যায় প্রদীপের আলো,
সময়ের সাথে শুধু ছায়ার মাঝে খুঁজে ফিরি,
জীবনানন্দের চিত্রভাষায়,
অন্য কোনো গদ্য, কবিতা হয়ে ওঠে।
এভাবেই জীবন এগিয়ে চলে,
আকাশের নিচে, ভূপৃষ্ঠে,
আমরা তাতে ভাসতে থাকি অনন্তের পথে,
ভাসা এক স্রোতের মেঘে, মুক্তির খোঁজে।